ইংরেজবাজারে তৈরি হচ্ছে দুটি ইকোপার্ক
মালদা শহরের জনসংখ্যা সাড়ে ৩ লক্ষের বেশি৷ কিন্তু এই শহরে মানুষের মনোরঞ্জনের তেমন কোনও ব্যবস্থা নেই৷ ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েদের সঙ্গে বড়োরাও শহরে সবুজ খুঁজে পান না৷ পার্ক বলতে মাত্র একটি৷ বেসরকারি হাতে থাকা শহরের শুভঙ্কর শিশু উদ্যান৷ আগে মালদা স্টেশনের গায়ে থাকা রেলওয়ে পার্কটি এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ ঝোপজঙ্গল আর দুষ্কৃতীদের আড্ডাস্থলে পরিণত হয়েছে সেটি৷ এই পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন সাত থেকে সত্তর৷
জেলাশাসক জানান, ইতিমধ্যে ইংরেজবাজার নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির সামনে থাকা একটি জলাভুমি সংস্কার করে একটি ইকো পার্ক তৈরির কাজ শুরু হয়েছে৷ নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতিই সেই কাজ করছে৷ জেলা কৃষি ফার্মে থাকা আরেকটি জায়গা তাঁদের খুব পছন্দ হয়েছে৷ সেখানে একটি পুকুরকে কেন্দ্র করে ইকো পার্ক তৈরি করা হবে৷ মালদার মানুষের মনোরঞ্জনের জন্য তাঁদের এই ভাবনা৷ কলকাতার ইকো পার্কে মনোরঞ্জনের যে সব ব্যবস্থা রয়েছে, এই দুই জায়গাতেও সেসব গড়ে তোলা হবে৷ আশা করা যায়, পার্ক দুটি তৈরি হলে মানুষ সেখানে গিয়ে আনন্দ পাবেন৷
মালদাবাসীর মনোরঞ্জনের জন্য এগিয়ে এল জেলা প্রশাসন৷ প্রশাসনিক উদ্যোগে জেলায় তৈরি হচ্ছে দুটি ইকোপার্ক৷ তার একটির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে৷ দ্বিতীয়টির কাজও দ্রুত শুরু হবে৷ দুটিই তৈরি হচ্ছে মালদা শহরে৷ সেকথা জানিয়েছেন জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য৷
একটি ইকো পার্ক ইংরেজবাজার নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির মাধ্যমে পরিচালিত হলেও দ্বিতীয় পার্কটির দায়িত্ব নিতে চায় ইংরেজবাজার পৌরসভা৷ পৌরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ জানিয়েছেন, শহরের বুকে এমন একটি ইকো পার্ক তৈরি হলে তাঁরা তার দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত৷ প্রয়োজনে পিপিপি মডেলে সেই পার্ককে সাজিয়ে তোলা হবে৷ মালদা শহরের বাসিন্দাদের সময় কাটানোর মতো তেমন কোনও জায়গা নেই৷ শহরের এক প্রান্তে সবুজের মধ্যে ইকো পার্ক তৈরি হলে তা শহরবাসীর কাছে নিশ্চিতভাবে গ্রহণযোগ্য হবে৷