শহর থেকে সরছে ইংরেজবাজার পুরসভা
১৮৬৮ সালে তৈরি হয় ইংরেজবাজার পুরসভা। শতাব্দী প্রাচীন এই পুরভবন এবার সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিল বর্তমান পুরবোর্ড। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা সেরে ফেলেছে পুর কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি জানানো হয়েছে রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরেও। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য শনিবার দুপুরে জেলাশাসককে নিয়ে জায়গা খুঁজতে বেরোন পুরসভার চেয়ারম্যান। তবে এখনও সেই জায়গা ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইংরেজ আমলে ১৮৬৮ সালে তৈরি হয় ইংরেজবাজার পুরসভা
প্রথমদিকে আমাদের শহরের নাম ছিল রংরেজবাজার। পরে ইংরেজরা ক্ষমতায় এসে এই শহরের নাম পরিবর্তন করে। নতুন নামকরণ হয় ইংরেজবাজার। উল্লেখ্য, মহানন্দা নদীর পশ্চিম পাড়ে মালদা শহরের স্থাপন অতি প্রাচীনকালে। ইংরেজ আমলেই ১৮৬৮ সালে তৈরি হয় ইংরেজবাজার পুরসভা। প্রথমে ইংরেজরাই এই পুরসভার দায়িত্বে ছিল। পরিষেবা প্রদান সহ অন্যান্য কাজকর্মের সুবিধার জন্য তৎকালীন শহরের মাঝামাঝি জায়গায় নির্মাণ করা হয় পুরভবন। পরবর্তীতে অবশ্য এই ভবনের একাধিকবার সংস্কার করা হয়।
পুরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ জানালেন, বর্তমানে প্রায় ১৭০০ কর্মী ইংরেজবাজার পুরসভায় কর্মরত। কিন্তু পুর ভবনের আয়তন আগের মতোই রয়ে গিয়েছে। ফলে কর্মীরা সবসময় বসে কাজ করতে পারেন না। একসঙ্গে সব কর্মীর বসার জায়গা নেই। এদিকে কাজের প্রয়োজনে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এখানে আসেন। তাঁরাও বসার জায়গা পান না। কর্মীদের থাকার আবাসন বানানো যাচ্ছে না। জায়গার অভাবে বেশ কয়েকটি দপ্তর অন্য জায়গায় করতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। দপ্তরগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার জন্য কাজকর্মেও সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সেকারণেই নতুন পুর ভবন নির্মাণের এই উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা। ইংরেজবাজার পুরও এলাকার ২৯টি ওয়ার্ডে বসবাস করেন ৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ।
ভবন নির্মাণে টাকার কোনও অভাব হবে না। রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের সবুজ সংকেত পেয়েছে পুরসভা, নীহারবাবু জানালেন। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাথমিকভাবে কয়েকটি জায়গা চিহ্নিত করেছেন তাঁরা। এদিন তিনি জেলাশাসককে নিয়ে কয়েকটি জায়গা ঘুরে দেখেছেন। তবে এখনও জায়গা চূড়ান্ত হয়নি। নতুন পুর ভবনে আধুনিক মানের প্রশস্ত অফিস তৈরি করা হবে। পুরসভার প্রতিটি দপ্তরকে এক ছাদের নীচে নিয়ে আনা হবে। তৈরি হবে পর্যাপ্ত পার্কিং-এর জায়গা, ক্যান্টিন ও কর্মীদের আবাসন। একই সঙ্গে সেখানে পুরসভার গেস্ট হাউস নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। জায়গা চূড়ান্ত হলেই কাজে হাত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নীহারবাবু। তবে এব্যাপারে জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।