আরপিএফ জওয়ানদের তৎপরতায় স্টেশন থেকে উদ্ধার আট নাবালক
আবার উদ্ধার হল নাবালকের দল। এই নিয়ে জুলাই মাসে ২৪ জন নাবালক উদ্ধারের ঘটনায় জনমানসে কিছুটা হলেও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে মালদা টাউন স্টেশন থেকে আট জন নাবালককে উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে এক পাচারকারীকে। উদ্ধার করা কিশোরদের সঙ্গে ধৃতকেও রেল পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়ে হয়েছে। ধৃতকে বুধবার জেলা আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে রেল পুলিশ।
দিল্লি পাচার হওয়ার আগেই আরপিএফ ও জেলা চাইল্ড লাইনের তৎপরতায় উদ্ধার হল এই আট নাবালক। আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে কয়েকজন কিশোরকে উদ্দেশ্যহীনভাবে বসে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় আরপিএফ জওয়ানদের। তাঁরা চাইল্ড লাইনে খবর দেন। খবর পেয়েই চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, দিল্লিতে ভালো টাকার কাজ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে তাদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় পাচারকারীকে। সবারই সন্দেহ, কাজের লোভ দেখিয়ে ওই কিশোরদের হয়তো বাইরের কোনও দেশে পাচার করে দেওয়া হত।
উদ্ধার হওয়া কিশোরদের বয়স ১১ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। তাদের নাম মাসুদ আলম, ফিরোজ আলম, রুবেল আলম, আবদুল বারি, ইব্রাহিম, মোজারুল হক, আলমগীর ও জয়উদ্দিন শেখ। এদের সবার বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মোতিলাল গ্রামে। ধৃত পাচারকারীও সেই গ্রামেরই বাসিন্দা। তার নাম আবদুল হাকিম (৪৫)। হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে লোকাল ট্রেনে কিশোরদের মালদায় এনেছিল হাকিম। দিল্লিগামী ফরাক্কা এক্সপ্রেসে তাদের পাচারের ছক কষেছিল সে।
মালদা টাউন জিআরপি থানার আইসি কৃষ্ণগোপাল দত্ত জানিয়েছেন, ওই কিশোরদের রাতে তাঁদের হেপাজতে রাখা হয়েছে। এদিন তাদের জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে এদিনই ধৃত আবদুল হাকিমকে জেলা আদালতে পেশ করা হবে।
ভিন রাজ্যে কাজের লোভ দেখিয়ে নাবালকদের পাচার নতুন কোনো ঘটনা নয়। কিন্তু একই মাসে দুবার নাবালক উদ্ধারের ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য লক্ষ্য করা গেছে। এখন দেখার এই ধরণের নাবালক পাচার রুখতে প্রশাসন কি নতুন কি উদ্যোগ নিতে চলেছে।