১০০ দিনের কাজের নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ

১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে সুপারভাইজারদের তদারকির জন্য নির্দিষ্ট পদে নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল পুরাতন মালদার সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে৷ এনিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ওই ব্লকের ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের সুপারভাইজারদের সঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধানও। তবে এঘটনায় বিডিও’র কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের সুপারভাইজারদের অভিযোগ, এমএনআরইজিএস প্রকল্পে প্রচুর কাজের চাপ৷ তা সামলানোর জন্য দক্ষ কর্মী প্রয়োজন৷ গতকাল সেই পরীক্ষা মালদা শহরে হয়ে গিয়েছে৷ এদিন পঞ্চায়েতে গিয়ে তাঁরা নোটিশ দেখতে পান৷ অর্থাৎ এই পদে ইন্টারভিউ হয়ে যাওয়ার পর নোটিশ লাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ৷ তাঁদের আরো অভিযোগ, নোটিশে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র জবকার্ডধারী এবং এই কাজের সঙ্গে যুক্তরাই আবেদন জানাতে পারবেন৷ তাঁরা জানতে পেরেছেন, এই পঞ্চায়েতে এই পদে দু’জনকে নেওয়া হবে৷ গতকাল সাহাপুর পঞ্চায়েতের জন্য দু’জন পরীক্ষাও দিয়েছেন৷ তাঁদের কেউ ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত নন৷ একজন এক পঞ্চায়েত কর্মীর স্ত্রী, আরেকজন আরেক পঞ্চায়েত কর্মীর ভগ্নিপতি৷ এই পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজ দেখাশোনা করার জন্য ২৩ জন সুপারভাইজার রয়েছেন৷ সময়মতো নোটিশ না দেওয়ায় তাঁদের কেউ এই পরীক্ষায় বসতে পারেননি৷ তাঁদের বক্তব্য, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নেই৷ তাই তাঁরা ফের নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন৷
সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পূর্ণিমা সরকারের দাবি, এই নিয়োগের কথা তাঁকে কেউ জানায়নি৷ এনিয়ে নোটিশ জারি হওয়ার কোনও খবরও তাঁর কাছে ছিল না৷ তাঁকে অন্ধকারে রেখেই নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছে৷ নোটিশ লাগানোর বিষয়েও তাঁকে কিছু জানানো হয়নি৷ তিনি মনে করছেন, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের সুপারভাইজারদের অন্ধকারে রাখতেই এই কাজ করা হয়েছে৷ যে দু’জন পরীক্ষা দিয়েছেন, তাঁরা পঞ্চায়েত কর্মীদের আত্মীয়৷ এই পঞ্চায়েতের দুটি পদের জন্য দু’জনই পরীক্ষা দিয়েছেন৷ এনিয়ে তিনি জেলা স্তরে চিঠি পাঠাচ্ছেন৷ তিনিও চান এই প্রক্রিয়া বন্ধ করে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করা হোক৷
পুরাতন মালদার বিডিও নরোত্তম বিশ্বাস বাইরে৷ এদিন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি৷