ল্যাবরেটরি সামগ্রী ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যে কোনও বিভাগে এক লক্ষ টাকার বেশি অর্থের সামগ্রী কিনতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন। সেই অনুমোদন এড়াতে এক লক্ষ টাকার কম বিল করে একের পর এক কেনা হয়েছে বোটানি ল্যাবরেটরির বিভিন্ন কেমিক্যাল। যেখানে বোটানি বিভাগের ল্যাবরেটরির প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার জন্য বছরে ৬ লক্ষ টাকার বাজেট বেঁধে দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স কমিটি, সেখানে ২০১৫ সালের পুরোনো ওয়ার্ক অর্ডার দিয়েই ২০১৬-২০১৭ অর্থবর্ষে শুধুমাত্র এই বিভাগের জন্য কেনা হয়েছিল প্রায় ১১ লক্ষ টাকারও বেশি সামগ্রী। কিশলয় এন্টারপ্রাইজ নামে বহরমপুরের একটি সংস্থা।

তবে আরও বেশ কয়েক লক্ষ টাকার বিল বোটানি বিভাগ থেকে জমা পড়লেও তা আটকে দিয়েছেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ফিনান্স অফিসার তথা অডিট অফিসার বিনয়কৃষ্ণ হালদার। তিনি বলেন, যথাযথ কাগজপত্র না থাকার জন্যই বোটানি বিভাগের বেশ কিছু বিল আটকে দেওয়া হয়েছে। দু’বছর আগের পুরোনো ওয়ার্ক অর্ডার নিয়ে কেনো মালপত্র কেনা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। তা নিয়ে আপত্তিও তোলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, ২০১৫ সালে বোটানি ল্যাবরেটরির প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার জন্য এক বছর মেয়াদের টেন্ডার এবং ওয়ার্ক অর্ডার চূড়ান্ত হয়েছিল। সেই বছর মাল কেনা হয় প্রায় ৪ লক্ষ টাকার। ২০১৬ সালে নতুন টেন্ডার কিংবা ওয়ার্ক অর্ডার না দিয়ে মাল কেনা হয় প্রায় তিন গুন বেশি টাকার। ফিনান্স দপ্তরের অনুমোদন এড়াতে প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিল করা হয়েছে এক লক্ষ টাকার নীচে। উল্লেখ্য, এসব নিয়ে যাঁর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, সেই সুদীপ্ত শীল বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি বিভাগের প্রধান।
বোটানি বিভাগের এই বিপুল টাকার ল্যাবরেটরি সামগ্রী কেনার ব্যাপারে পুরোপুরি অন্ধকারে বোটানি বিভাগের অধ্যাপক বিবেকানন্দ মণ্ডল, সুকান্ত সেন, স্বর্ণেন্দু রায়।তবে তাঁরা নিশ্চিত, অত টাকার সামগ্রী তাঁদের বিভাগে ঢোকেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স কমিটি তদন্ত করে দেখলেই আর্থিক দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসবে। তবে সুদীপ্ত শীল জানান, এক্ষেত্রে আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে কিনা তা দেখা ফিনান্স কমিটির দায়িত্ব। তারা এনিয়ে কিছুই বলে নি। রেজিস্ট্রারের অনুপস্থিতিতে উপাচার্য গোপালচন্দ্র মিশ্রকে জানিয়েই ল্যাবরেটরির সামগ্রী কেনা হয়েছে।