বাড়িতে ঢুকে মারধর করে সোনাদানা লুঠ
ছাগল নিয়ে দুই পরিবারের বচসায় আক্রান্ত হলেন এক পরিবারের ৪ সদস্য৷ আহতদের মধ্যে তিনজন মহিলা৷ গতকাল ঘটনাটি ঘটেছে বৈষ্ণবনগর থানার বেদরাবাদ সংলগ্ন রায়পুর গ্রামে৷ আক্রান্ত তিনজনকে গতকাল নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে৷ প্রাথমিক চিকিৎসার পর দু’জনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও একজনকে রেফার করা হয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে৷ এই ঘটনায় এদিন বৈষ্ণবনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যরা৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷

আক্রান্তরা হলেন পবিত্রা মণ্ডল, তাঁর শাশুড়ি কালোনি মণ্ডল, মেয়ে ঝুমা ও ছেলে তপন৷ ঘটনার সময় বাড়ির বাইরে থাকায় তাঁর স্বামী তরণী মণ্ডল হামলার শিকার হননি৷ তপনের অভিযোগ, গতকাল দুপুরে তাদের বাড়ির একটি ছাগল রাস্তায় ঘুরছিল৷ সেই সময় ছাগলটিকে ধরে পেটাতে থাকে তাদেরই প্রতিবেশী পদু, রাজু সহ তাদের বাড়ির আরও কয়েকজন৷ সেই সময় তার বোন সেখান দিয়ে বাড়ি ফিরছিল৷ সে ছাগলটিকে বাঁচাতে প্রতিবাদ করে৷ ছাগলটিকে ঘরে নিয়ে চলে আসে৷ সেই সময় ঝুমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে পদুরা৷ খানিক পর তাদের বাড়ির বেশ কয়েকজন সহ বাইরের কিছু লোকজনও তাদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে৷ তাদের হাতে লাঠিসোঁটা সহ ধারালো হাঁসুয়া ছিল৷ কোনও কথা না বলেই তারা তাদের বাড়ির সবার উপর চড়াও হয়৷ তার বৃদ্ধা দিদিমাকেও মারধর করে তারা৷ বাড়ির ছাদ দেওয়ার জন্য বাড়িতে রাখা ১ লক্ষ টাকা ও বোনের বিয়ের জন্য রাখা সোওয়া ভরি সোনার মালাও তারা লুঠ করে নেয়৷ এরপর গ্রামের লোকজন ছুটে এলে পদুরা তাদের বাড়ি থেকে চলে যায়৷ গ্রামবাসীরাই তাদের স্থানীয় বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করে৷ দিদিমার বয়স বেশি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়নি৷ তিনি বাড়িতে একাই ছিলেন৷ সেই সময় অভিযুক্তরা আরও তিনবার তাদের বাড়িতে যায়৷ রাতে তাকে ও ঝুমাকে বেদরাবাদ হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিলেও মায়ের হাত ভেঙে যাওয়ায় তাঁকে রাতেই মালদা মেডিকেলে ভরতি করা হয়৷ এই ঘটনায় এদিন সকালে তার বাবা পদু ও রাজু ছাড়াও ধরণী মণ্ডল, ভূতেশ মণ্ডল, প্রকাশ মণ্ডল, সুলেখা মণ্ডল, জল্পনা মণ্ডল, অঞ্জলি মণ্ডল সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে বৈষ্ণবনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি৷
প্রতীকী ছবি সৌজন্যে পিক্স অ্যাবে।