পণ্যবাহী ট্রাকে আগুন দুষ্কৃতীদের

দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মহদিপুর আন্তর্জাতিক স্থল বাণিজ্য বন্দর। এদিন ভোর রাতে দুষ্কৃতীরা সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা চারটি চাল বোঝাই লরিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুড়ে গিয়েছে সেই লরিগুলিতে থাকা সমস্ত চাল। লরি চালক ও শ্রমিকরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মালিক সংগঠনের সাথে লরি চালকরাও। পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাত থেকেই তোলা আদায়কে কেন্দ্র করে কিছু লরিচালক ও দুষ্কৃতীদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। কিন্তু তোলাবাজদের হুমকিকে খুব একটা পাত্তা দেননি চালকরা। এরপরেই ভোর রাতে দুষ্কৃতীরা পার্কিং এড়িয়ায় দাঁড়িয়ে থাকা চারটি চালবোঝাই লরিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর দেওয়া হয় দমকল বিভাগে। এদিন সকালে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়। কিন্তু তার আগেই লরি শ্রমিক সহ স্থানীয় মানুষজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মালদা মার্চেন্টস চেম্বার অফ কমার্স-এর সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু অভিযোগ করেন, এদিন দুষ্কৃতীরা লরিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। লরির শ্রমিকরা ও চালকরা অনেক কষ্টে তা নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি আরো জানান, দীর্ঘদিন ধরেই মহদিপুর বাণিজ্যস্থল নিয়ে অনেক সমস্যা রয়েছে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে এসে জেলা প্রশাসনকে বাণিজ্যস্থলের সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দিলেও জেলা প্রশাসন এখনো উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
গৌড় ট্রাক অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সমীর ঘোষ বলেন, এভাবে ঝুঁকি নিয়ে সীমান্তে লরি চালানো সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে তাঁরা মহদিপুর সীমান্তে লরি পাঠানো বন্ধ করে দেবেন। বর্তমানে লুকোচুরি দরওয়াজার কাছে একটি পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। সেখানে পুলিশ থাকলেও বিপদের সময় পুলিশকর্মীদের পাওয়া যায় না। তাঁদের দাবি, এই মুহূর্তে লুকোচুরি দরওয়াজা এলাকায় একটি পুলিশ ক্যাম্প চালু থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। তাই বেসরকারি পার্কিং এরিয়ায় আরেকটি ক্যাম্প দ্রুত চালু করতে হবে। একইসঙ্গে দুষ্কৃতীর কঠোর হাতে দমন করতে হবে।
ইংরেজবাজার থানার পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। শীঘ্রই দুষ্কৃতীদের সনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে।
ভিডিয়োঃ ক্রিতাঙ্ক