নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে উদ্ধার বোমা তৈরির সামগ্রী, ধৃত ৭
top of page

নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে উদ্ধার বোমা তৈরির সামগ্রী, ধৃত ৭

বোমা বানাতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়ল ৭ দুষ্কৃতী। ধৃত দুষ্কৃতীদের বিজেপি কর্মী বলে দাবি করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের কথাতে সুর মিলিয়েছে পুলিশও। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপির দাবি, দুষ্কৃতীরা তৃণমূলেরই। গতকাল রাতে বামনগোলা ব্লকের জগদলা গ্রাম পঞ্চায়েতের আশ্রমপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে ধৃতদের এদিন জেলা আদালতে পাঠিয়েছে বামনগোলা থানার পুলিশ৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে বামনগোলায়।



বামনগোলা থানার পুলিশসূত্রে জানা গেছে, সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে গতকাল গভীর রাতে আশ্রমপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রফুল্ল দাসের বাড়িতে হানা দেন পুলিশকর্মীরা৷ সেই সময় ওই বাড়িতে একটি টিনের ঘরে সেই সময় বোমা বানানোর কাজ চলছিল৷ সেখান থেকে হাতেনাতে ধরে ফেলা হয় ৭ জনকে৷ উদ্ধার হয় প্রচুর বোমার মশলা ও লোহার সকেট৷ ধৃতরা স্বীকার করে নেয়, সেখানে তারা সকেট বোমা তৈরি করছিল৷ ধৃতদের নাম সুজন হালদার (১৯), সাগর হালদার (২১), অভিজিত বাইন (৩৪), গোকুল হালদার (২৬), স্নেহাশিস সরকার (২৬), উজ্জ্বল সরকার (৩৪) ও রাম দাস (৩৮)৷ এদের মধ্যে সুজন ও সাগরের বাড়ি গাজোলের আলালে, গোকুল ও উজ্জ্বলের বাড়ি বামনগোলা, অভিজিতের বাড়ি পাকুয়াহাট এবং স্নেহাশিসের বাড়ি সালালপুর গ্রামে৷ বাড়ির মালিক প্রফুল্ল দাসের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

ওসি অলোক ভৌমিক জানিয়েছেন, গভীর রাতে তাঁরা আশ্রমপুর গ্রামে প্রফুল্ল দাসের বাড়িতে হানা দেন৷ সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে বোমা তৈরির সামগ্রী উদ্ধার হয়৷ উদ্ধার হওয়া সামগ্রী দিয়ে অন্তত ১০০টি সকেট বোমা বানানো যেত৷ ঘটনাস্থল থেকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয় ৭ জনকে৷ তারা সকলেই এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসাবে পরিচিত৷ তবে বাড়ির মালিকের খোঁজ পাওয়া যায়নি৷ তার খোঁজে তল্লাশি জারি রয়েছে৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় আইনের ১২০ বি, অস্ত্র আইনের পি/৪/৫ সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে৷ ধৃতদের এদিন জেলা আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে৷

ব্লক তৃণমূল সভাপতি অমল কিসকুর দাবি, ধৃতরা সবাই বিজেপির কর্মী৷ ভোটে তারা এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করার জন্য বোমা তৈরি করছিল৷ সন্ত্রাস সৃষ্টি করে তারা সাধারণ মানুষজনকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে বিজেপি৷ গতকাল রাতে তাঁদের দলের কর্মীরা জানতে পারেন, আশ্রমপুর গ্রামের বিজেপি নেতা প্রফুল্ল দাসের বাড়িতে বোমা তৈরির কাজ চলছে৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা পুলিশে খবর দেন৷ পুলিশ ওই বাড়ি থেকে বোমা তৈরির উপকরণ সহ ৭ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে৷ তবে বিজেপির ব্লক সভাপতি অনাদি মণ্ডল জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ধৃতরা তাঁদের দলের কেউ নয়৷ তারা তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর লোকজন৷ ভোটের আগে এলাকায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ধামাচাপা দিতে শাসকদল তাদের ইচ্ছাকৃতভাবে ফাঁসিয়েছে৷ এই নাটক করে তারা ভোটে জিততে চাইছে৷ গোটা জেলার সঙ্গে বামনগোলাতেও বিজেপি এখন যথেষ্ট শক্তিশালী৷ তৃণমূল জানে, সুষ্ঠুভাবে ভোট হলে তারা জিততে পারবে না৷ তাই তারা এই নাটক করেছে৷

গোটা ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকা জুড়ে। নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে বোমা তৈরির সামগ্রী উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

ছবিটি প্রতীকী।

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page