নিজের জন্মদিনে আদিবাসী ছাত্রীকে ল্যাপটপ দিলেন হোটেল ব্যবসায়ী

ইতিমধ্যে মালদা কলেজ গ্রামটিকে দত্তক নিয়েছে। মালদা ব্লকের আদিবাসী অধ্যুষিত খেরীবাড়ি গ্রামে আছে বিদ্যুৎ, আছে পানীয় জলের ব্যবস্থা। কিন্তু শিক্ষার আলো এখনও এই গ্রামে তেমনিভাবে বিস্তার লাভ করতে পারে নি। বিশেষকরে মেয়েদের ক্ষেত্রে বছর ১২ পেরিয়ে গেলেই বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা বেশি। কিন্তু সেই গ্রামের এক আদিবাসী পরিবারের ব্যতিক্রমী উদাহরণ। বাবা গোবিন্দ মারডি স্থানীয় সিল্ক কারখানার শ্রমিক ও গৃহবধূ মা মরিয়ম মুর্মু-র সঙ্গে দ্বাদশ শ্রেণিতে পাঠরত বোন এবং ও অষ্টম শ্রেণিতে পাঠরত ভাইকে নিয়ে অভাবের সংসারে বাস করে মেনকা মারডি।
গোটা গ্রামের মধ্যে মেনকাই একমাত্র মেয়ে যে বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে মালদা কলেজে জিওলজি অনার্স নিয়ে প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছে। আর মেনকার এই অনুপ্রেরণাকে আরো উৎসাহ দিতে নিজের জন্মদিনে তাকে একটি নতুন ল্যাপটপ উপহার দিয়ে দিলেন জেলার অন্যতম হোটেল ব্যবসায়ী প্রসেনজিৎ সাহা। প্রসেনজিৎবাবু বলেন যে মেনকার পরিবার যে আর্থিক অভাবের মধ্যেও তার পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে তা দেখে তিনি অনুপ্রাণিত, তাই নিজের জন্মদিনে এমন কিছু করার সিদ্ধান্ত নেন যা ভবিষ্যতে মেনকার উচ্চশিক্ষার পরিপূরক হতে পারে। তিনি বলেন বর্তমানে কম্পিউটার হল উচ্চশিক্ষার অন্যতম বিষয়। তিনি জানান, প্রথমে মেনকাকে ডেস্কটপ কম্পিউটার দিতে মনস্থির করেছিলেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে তাকে কম্পিউটার টেবিলও কিনে দিতে হয়। তাছাড়া শিক্ষার জন্য মেনকাকে জেলার বাইরে যেতে হলে সেই কম্পিউটার বহন করার ক্ষেত্রে সমস্যা হত। ল্যাপটপের ক্ষেত্রে সেই সমস্যা থাকবে না। তাই প্রসেনজিৎবাবু সোমবার তাঁর নিজের জন্মদিনে মেনকাকে উপহারস্বরূপ ল্যাপটপটি দেন। উপহার দিতে পেরে তিনি জন্মদিনে যথেষ্ট আনন্দ পেয়েছেন বলে জানান প্রসেনজিৎবাবু।