জ্বরে ছাত্রের মৃত্যু, পুরসভা ঘেরাও আগামীকাল
মালদা শহরের বুড়াবুড়িতলা এলাকার বিপ্লব পাল৷ বয়স ১৫ বছর৷ সে স্থানীয় অ্যাকাডেমি হাইস্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ত৷ তার মামা মঙ্গল রায় বলেন, ৪ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিল তাঁর ভাগনে৷ চিকিৎসার পর জ্বর ছেড়েও যায় তার৷ কিন্তু তারপর থেকে সে বিছানা ছেড়ে উঠতে বা দাঁড়াতে পারত না৷ অবশেষে গতকাল তাঁরা ভাগনেকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করেন৷ কিন্তু চিকিৎসকরা তার অসুখই ধরতে পারেননি৷ শেষ পর্যন্ত গতকাল রাতেই তাঁর ভাগনে মারা যায়৷ তাঁরা নিশ্চিত, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েই তাঁর ভাগনের মৃত্যু হয়েছে৷ কারণ, ডেঙ্গুর উপসর্গ সবই বিপ্লবের মধ্যে দেখা গিয়েছিল৷ কিন্তু সেই তথ্য গোপন করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷

শহর জুড়ে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়লেও ইংরেজবাজার পুরসভা কর্তৃপক্ষ কার্যত চোখে ঠুলি লাগিয়ে বসে রয়েছে৷ বুড়াবুড়িতলার আরেক বাসিন্দা সঞ্জয় দাস বলেন, তাঁরা চান মালদা শহর থেকে যাতে ডেঙ্গুর প্রকোপ দূর হয়৷ বন্যার সময় শহরে জমে যাওয়া জল এখনও বের করা হচ্ছে না৷ গোটা শহর আবর্জনায় ভর্তি৷ এসব কারণেই ডেঙ্গুর মশা প্রভাব বিস্তার করছে৷ মালদা মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা করছে না৷ প্রতি মুহূর্তে তথ্য গোপন করা হচ্ছে৷ বিপ্লব যে ডেঙ্গুর শিকার তা তাঁদের বুঝতে বাকি নেই৷ কিন্তু মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ এখনও তার মৃত্যুর শংসাপত্র হাতে দেয়নি৷ শহরকে ডেঙ্গু মুক্ত করার দাবিতে আগামীকাল তাঁরা ইংরেজবাজার পুরসভা ঘেরাও করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷
যদিও মালদা মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ তথা হাসপাতাল সুপার অমিত দাঁ দাবি করেছেন, ওই ছাত্রের চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি হয়নি৷ ভর্তির পর থেকে তাকে একাধিক চিকিৎসক দেখেছেন৷ তবে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ কী, তা এখনও তিনি জানেন না৷ তিনি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছেন৷ অন্যদিকে ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ দাবি করেছেন, শহরের কোথাও যাতে জল না জমে থাকে তার জন্য তাঁরা তৎপর রয়েছেন৷ শহরের কোথাও কোনও আবর্জনা জমা হতে দেওয়া হচ্ছে না৷ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যা করা যায় তা তাঁরা করছেন৷