করোনা পরীক্ষায় অনীহা জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের!
top of page

করোনা পরীক্ষায় অনীহা জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের!

জেলায় করোনার বৃদ্ধি অব্যাহত৷ প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা৷ এর মধ্যে মালদা শহরে সংক্রমণের সংখ্যা সর্বাধিক৷ এখনও পর্যন্ত জেলায় মোট দু’হাজার মানুষ করোনার শিকার হয়েছে৷ মালদা শহরে সেই সংখ্যাটি ৪৫০ ছাপিয়ে গিয়েছে৷ বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও৷ রাজ্য সরকারই স্বীকার করে নিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ যদিও বেসরকারি সূত্রে সেই সংখ্যাটা আরও বেশি৷



এই পরিস্থিতিতে শহরবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে, স্বাস্থ্য দফতর এবং ইংরেজবাজার পুর প্রশাসন সঠিকভাবে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করছে না৷ অনেকে নিজেদের লালারস পরীক্ষা করাতে চাইলেও মেডিকেল কর্তৃপক্ষ নমুনা সংগ্রহ করছে না৷ পুরসভা নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতেও লালারসের নমুনা নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ শহরবাসীর এই অভিযোগ যে ভিত্তিহীন নয়, তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের অন্যতম সদস্য দুলাল সরকার৷ তিনি এনিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন৷

এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গে মালদা এমন অবস্থায় জেলায় স্বাস্থ্য দফতর কিংবা ইংরেজবাজার পুরসভার বিরুদ্ধে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তা সত্যিই বিপজ্জনক৷ তবে কি করোনার প্রকৃত তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই লালারসের নমুনা কম সংগ্রহ করা হচ্ছে? এমন প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে৷ কারণ, এই মুহূর্তে উত্তর দিনাজপুর থেকে কোনও নমুনা পরীক্ষার জন্য মালদায় পাঠানো হচ্ছে না৷ দক্ষিণ দিনাজপুর থেকেও অনেক কম নমুনা জেলায় আসছে৷ তাহলে জেলাবাসীর লালারস সংগ্রহ করতে সমস্যা কোথায়? এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে সবাই৷ শহরের অনেক করোনা আক্রান্তই জানিয়েছেন, তাঁদের লালারসের নমুনায় সংক্রমণ ধরা পড়ার পর পরিবারের অন্যরাও নিজেদের লালারস পরীক্ষা করাতে চেয়েছে৷ তার জন্য একাধিকবার স্বাস্থ্য দফতর ও পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে৷ কিন্তু কোনও লাভ হয়নি৷ স্বাস্থ্য দফতর কিংবা পুর কর্তৃপক্ষ পরিবারের সব সদস্যকে হোম কোয়রান্টিনে থাকার কথা বলেই দায় সেরেছে৷




মালদা শহরে লালারসের নমুনা সংগ্রহে যে ভাঁটা পড়েছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন ইংরেজবাজার পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের অন্যতম সদস্য দুলাল সরকার৷ তিনি বলেন, জেলাশাসক ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক যৌথভাবে মালদা মেডিকেল কলেজের মাধ্যমে শহরবাসীর লালারস পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন৷ সেই সময় আমাদের পুরসভার চারটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও আমরা লালারসের নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছিলাম৷ কিন্তু মালদায় করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিয়েছে৷ স্বাস্থ্য দফতরের যে বিশেষজ্ঞ কর্মীরা লালারস সংগ্রহ করতেন তাঁরা সবাই করোনা সংক্রমিত হয়ে যান৷ তাই এখন স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে লালারসের নমুনা সংগ্রহ বন্ধ রয়েছে৷ তবে এখন দুই দিনাজপুরের লালারসের নমুনা মালদায় আসছে না৷ ফলে মালদা মেডিকেলের চাপ অনেকটা কমেছে৷ লকডাউনের জন্য আমরা পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে এখনও লালারসের নমুনা সংগ্রহ করার কাজ শুরু করতে পারিনি৷ আমরা এনিয়ে আলোচনা করছি৷ স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষজ্ঞ কর্মীরা সুস্থ হলেই আমরা ফের শহরে লালারস সংগ্রহ শুরু করব৷


টপিকঃ #CoronaVirus

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page