‘ডাক্তারদের চেম্বার থেকে ডেকে আনতে হয়’
ছোটো-খাটো অসুখেও রোগীদের রেফার করে দেওয়া হয় চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কিংবা মালদা মেডিকেল কলেজে। এই অভিযোগে সরব হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশাপাশি হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানের দাবিও তুলেছেন তাঁরা।
“হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে বেশিরভাগ সময় ডাক্তাররা থাকেন না”
হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার কলমপাড়ার বাসিন্দা সুজন দাস বলেন, "আমার দাদুকে গত মাসে এই হাসপাতালে ভরতি করেছিলাম। কিন্তু ডাক্তার না দেখেই দাদুকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল রেফার করে দিতে বলে। চিকিৎসা না করে সঙ্গে সঙ্গে রেফার করে দেওয়াটা আমি সঠিক বলে মনে করি না। হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে বেশিরভাগ সময় ডাক্তাররা থাকেন না। তাঁরা নিজের নিজের চেম্বার করেন। ডাক্তারদের মাঝেমাঝেই চেম্বার থেকে ডেকে আনতে হয়। এভাবে চিকিৎসা ব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে। হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে এত ওষুধের দোকান সেখানেও চলছে কমিশন রাজ। ওষুধে কোনও ছাড় মেলে না। অবিলম্বে হরিশ্চন্দ্রপুরে একটি ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান খোলা উচিত।"
রাজকুমার পাঠক, স্থানীয় ওষুধের দোকানদার
আমরা ওষুধ বিক্রির সময় গরিব মানুষদের স্বার্থের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে ছাড় দিয়ে থাকি। তবে জিএসটি বিল নিতে গেলে এই ছাড়ের হেরফের হয়।
হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অমলকৃষ্ণ মণ্ডল জানান, একটি গ্রামীণ হাসপাতালে যে পরিকাঠামো থাকা উচিত তা সবই রয়েছে এখানে। কিন্তু কোনও রোগী জরুরি অবস্থায় ভরতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়। হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানের দাবি উঠেছে। হাসপাতাল চত্বরে ওষুধের দোকান হলে স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের সুবিধে হবে।