শহরে দু’দিনের ডাকটিকিট প্রদর্শনী
ভারতীয় ডাক বিভাগের উদ্যোগে আজ মালদা শহরের সত্য চৌধুরি ইনডোর স্টেডিয়ামে শুরু হল দু’দিনের ডাকটিকিট প্রদর্শনী৷ এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে পুরোনো দিনের বিভিন্ন চিঠিপত্রও৷ এদিন সকাল ১১টায় প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ইংরেজবাজারের বিধায়ক তথা পৌরপ্রধান নীহাররঞ্জন ঘোষ৷ উপস্থিত ছিলেন ডাক বিভাগের উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের পোস্ট মাস্টার জেনারেল অমিতাভ খাড়কেওয়াল সহ দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা৷

পোস্ট মাস্টার জেনারেল বলেন, এর আগে ২০০৩ সালে মালদায় জেলাস্তরের ডাকটিকিট প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল৷ মাঝের কয়েকবছর সেই প্রদর্শনীর আর আয়োজন হয়নি৷ এবারের প্রদর্শনীতে রাজ্যের ডাকটিকিট সংগ্রহকারীরা অংশ নিয়েছেন৷ প্রায় ৭০টি ফ্রেম এবারের প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে৷ এর সঙ্গে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা ও ডাকটিকিট সম্পর্কিত কুইজেরও আয়োজন করেছেন তাঁরা৷ আগামীকাল বিকেলে সেই সব প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষিত হবে৷ ডাকটিকিট সংগ্রহকারীদের জন্য এই রাজ্যে ৪০টি স্কলারশিপ দেওয়া হচ্ছে৷ তাঁরা চান, স্কুলের পড়ুয়ারাও সেই স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য যেন এগিয়ে আসে৷ এই স্কলারশিপে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে বছরে ৬ হাজার টাকা দেওয়া হয়ে থাকে৷
এদিনের অনুষ্ঠানে মালদা জেলার আম নিয়ে একটি ডাকটিকিট কভারের উদ্বোধন করা হয়৷ তার উদ্বোধন করে বিধায়ক তথা পৌরপ্রধান নীহারবাবু বলেন, মালদা জেলা আমের জন্য বিখ্যাত৷ তাই এদিন সেই আমের ছবি সংবলিত ডাকটিকিট কভারের সূচনা হওয়ায় তিনি অত্যন্ত খুশি৷ কিন্তু এই জেলা গম্ভীরা গানের জন্যও গোটা দেশে পরিচিত৷ তাই ডাক বিভাগের কাছে তাঁর আবেদন, সেই লোকশিল্পের উপরেও ডাকটিকিট কিংবা কভার চালু করা হোক৷ তাহলে সারা দেশে এই জেলার প্রসিদ্ধ লোকশিল্পের কথা ছড়িয়ে পড়বে৷ নীহারবাবু আরও বলেন, প্রাচীন ও মুল্যবান এসব ডাকটিকিট দেখার জন্য জেলার মানুষ, বিশেষ করে পড়ুয়ার দল মাত্র দু’দিন সময় পাচ্ছে৷ এই সময়সীমা আরও বাড়ালে ভালো হত৷