করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বন্ধ করা হয়েছে মহদীপুর সীমান্ত। সমস্যায় পড়েছেন দুই দেশের নাগরিকরা। এই পরিস্থিতিতে কী করবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না বাংলাদেশি নাগরিকদের পাশাপাশি ভারতীয়রাও।
রাজশাহী জেলার গোদাগারির বাসিন্দা মোহম্মদ ইসমাইল হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার দাদুর বাড়ি বেড়াতে এসেছিলাম৷ দেশে ফেরার জন্য গতকাল সকালে মহদীপুর চেকপোস্টে নিজের পাসপোর্ট জমা দিয়েছিলাম৷ অনেকক্ষণ বসে থাকার পর জানানো হল, বর্ডার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ এরপরে আর দেশে ফিরতে দেওয়া হয়নি। এখানে একশোরও বেশি মানুষ আটকে রয়েছে।
রাজশাহী জেলার গোদাগারির বাসিন্দা মোহম্মদ ইসমাইল হোসেন মহদিপুর চেকপোস্টে নিজের পাসপোর্ট জমা দেওয়ার পর জানতে পারেন বর্ডার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ চেকপোস্টে সমস্ত নথিপত্র দিয়ে ভারতে পা রেখেছেন মানিকচকের মহম্মদ ইস্তাক খান। পাসপোর্টে কোনোরকম এন্ট্রি ছাড়াই তাঁকে বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে দেশে ফেরার অনুমতি পেয়েছেন মুর্শিদাবাদের রানিনগরের বাসিন্দা আলম ইসলাম। কিন্তু এদেশের চেকপোস্টে বলা হচ্ছে, আর কাউকে দেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না৷
মানিকচকের মহম্মদ ইস্তাক খান বলেন, তিনি ভারতীয়৷ বাংলাদেশে আত্মীয়দের বাড়িতে গিয়েছিলেন৷ গতকাল সকালে বাংলাদেশ চেকপোস্টে সমস্ত নথিপত্র দিয়ে ভারতে পা রেখেছেন৷ কিন্তু এদেশের কাস্টমস চেকপোস্টে তাঁদের পাসপোর্টে কোনও এন্ট্রি করা হয়নি৷ ফলে তাঁরা সমস্যায় রয়েছেন। যদিও তাঁদের এন্ট্রি ছাড়াই বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয়েছে কাস্টমস চেকপোস্ট থেকে। কিন্তু পরবর্তী সমস্যার কথা মাথায় রেখে বাড়ি ফিরতে পারছেন না তাঁরা।
মুর্শিদাবাদের রানিনগরের বাসিন্দা আলম ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলাম৷ বাংলাদেশ থেকে দেশে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়৷ কিন্তু এদেশের চেকপোস্টে বলা হচ্ছে, আর কাউকে দেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না৷ কোনও পাসপোর্টে এন্ট্রি করা যাবে না।
Comments