top of page

আসন না মেলায় কি ব্রাত্য ছিল মালদা, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে প্রশ্ন

তিনি এলেন, দেখলেন, বললেন, আর রেখে গেলেন অনেক প্রশ্ন। তিনি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


এগারোয় রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছিলেন তিনি। কিন্তু তখন থেকে দশ দশটি বছর মালদা জেলায় তাঁর দল দাঁত ফোটাতে পারেনি। রাজনীতির খেলায় অন্য দলের বিধায়কের হাতে ঘাসফুলের ঝান্ডা তুলে দেওয়া হয়েছিল বটে, কিন্তু তা তো অন্যের ঘরে সিঁদ কাটা। এগারো থেকে এগারোর অনেক বেশিবার মালদায় এসেছেন তৃণমূলের সুপ্রিমো। নিজের ঘরে ঝগড়া যাতে কলতলায় চলে না যায় তার জন্য পই পই করে সবাইকে সতর্ক করেছেন। কাজ কিছুই হয়নি।


রাশিতত্ত্ব বলে, গ্রাফ কখনও একধারায় চলে না। হাতেগরমে প্রমাণ পেয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। তবে তাঁর দলের লোকজন নয়, একুশে তাঁর ঝাঁপি ভরে দিয়েছে মালদার মানুষ। বারোয় আট। এতটা বোধহয় কল্পনাতেও আসেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই উপহার পাওয়ার পরেও পেরিয়ে গিয়েছে ছ’টি মাস। তবু নীল-সাদা শাড়ির দেখা মেলেনি এই জেলায়। অবশেষে বছরশেষে মালদার মাটিতে পা রেখেছেন তিনি। প্রশাসনিক সভার সঙ্গে রাজনীতিকে মিশিয়ে দিয়েছেন। অবশ্য তিনিই সেটা পারেন। সভামঞ্চ থেকে দলের তিনি জেলাস্তরের নেতা-নেত্রীকে ঝগড়া থামানোর কথা বলেছেন। পরক্ষণেই একজনকে বলেছেন, ওই নেতা ঝগড়া থামাতে পারেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন না। সব কিছুই ঘটেছে সবার সামনে।



কিন্তু ওই সভাতেই একাধিক প্রশ্ন তৈরি করে দিয়েছেন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে তিনি মন্তব্য করেছেন, মালদার মানুষ তাঁকে আম, আমসত্ত্ব, আমের আচার সবই দিয়েছে। এবার তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়ার পালা। এতেই প্রশ্ন উঠেছে, তবে এগারো থেকে একুশ পর্যন্ত তাঁর কাছে ব্রাত্যই ছিল মালদা? শুধুমাত্র রাজ্য সরকারের কাজকর্ম ছাড়া এখানে কোনও উল্লেখযোগ্য কাজ করা হয়নি? জেলাবাসীর একাধিক চাহিদা পূরণ হয়নি? তার মধ্যে রয়েছে মালদা বিমানবন্দর চালুর বিষয়টিও। জেলায় বিমান পরিষেবার জন্য মালদার মানুষ যে মুখিয়ে রয়েছেন তা বিলক্ষণ জানা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। তাই সেদিন তিনি কৌশলে সেই প্রসঙ্গটি উসকে দিয়ে মালদার মানুষকে আবারও স্বপ্ন দেখিয়েছেন। একইসঙ্গে ম্যাঙ্গো হাব, মাখনা প্রক্রিয়াকরণ শিল্প নিয়েও ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন তিনি।


[ আরও খবরঃ ৩ জানুয়ারি থেকে মালদায় বইমেলার আসর ]

জেলাবাসীর একাংশের ধারণা, পুর নির্বাচনের আগে প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে সুকৌশলে এই জেলা নিয়ে সরকারের একাধিক পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেছেন মমতা। জেলার দুই পুরসভা তাঁদের দখলে থাকলেও গত লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনের ফল অন্য ইঙ্গিত দিচ্ছে। দুই শহরেই প্রত্যাখ্যাত হয়েছে তৃণমূল। তাই এখন থেকেই ভোটের সুতোটা নিজের কাছে রাখতে চাইছেন তিনি। কিন্তু সেই সভায় চাঁচল পুরসভা গঠন নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি তিনি। এনিয়ে ক্ষোভ রয়েছে উত্তর মালদার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের। পুর নির্বাচনের পরেই দামামা শোনা যাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের। চাঁচল পুরসভা নিয়ে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের নিষ্পৃহ মনোভাব সেই ভোটে ব্যুমেরাং হবে না তো! নাকি তার আগেই আবারও চতুর ভোট কৌশলির মতো তাঁর গলায় উঠে আসবে সেই পুরসভার কথা।


[ আরও খবরঃ মেডিকেলে যোগ দিলেন নিউরো সার্জেন, চালু হচ্ছে ট্রমা কেয়ার ইউনিট ]



আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page