ভাইয়ের বাড়ির থেকে দাদার গলা কাটা দেহ উদ্ধার

ভাইয়ের বাড়ির উঠোন থেকে দাদার গলা কাটা দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁচল ১ ব্লকের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজলাদহ গ্রামে। এই ঘটনায় ভাইকেই সন্দেহ করছে পুলিশ। যদিও অভিযুক্ত ভাই, পরিবার সহ পলাতক। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে চাঁচল থানার পুলিশ। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী অভিযুক্ত ভাই হাসান এখন পুলিশ হেফাজতে।
মৃতের নাম মিঠুন আলি। বয়স ৩২। এলাকায় সমাজবিরোধী হিসেবে কুখ্যাত মিঠুন। তার বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বেশ কয়েকবার জেলও খেটেছে সে। এখনও তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা চলছে। মিঠুন বিবাহিত। স্ত্রী লিপি বিবি ও সন্তান নিয়ে সে বাবার ভিটে ছেড়ে অন্য জায়গায় থাকত। তার বাবা সিদ্দিক আলি জানিয়েছেন, তাঁর ৩ ছেলে। মিঠুন বড়ো। ছোটো থেকেই সমাজবিরোধী সে। মাঝেমধ্যে সম্পত্তির ভাগ চাইত তাঁর কাছে। তা না দিলে সে তাঁদের সবাইকে খুন করার হুমকি দিত। তার ভয়েই গত ৫ বছর ধরে তিনি স্ত্রী ও ছোটো ছেলে জাহাঙ্গিরকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। তাঁর মেজ ছেলে হাসান পরিবার নিয়ে তাঁর পৈতৃক ভিটেয় থাকে। এদিন সকালে তিনি খবর পান, বাড়ির উঠোনে মিঠুনের গলা কাটা দেহ পড়ে রয়েছে। সেই খবর পেয়েই তিনি বাড়িতে ছুটে আসেন।
এদিন সকালে হাসানের প্রতিবেশীরা তার বাড়ি গিয়ে দেখতে পান, উঠোনে পড়ে রয়েছে মিঠুনের দেহ। তার গলা কাটা। দেহের একাধিক জায়গায় ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে। হাসান কিংবা তার পরিবারের কেউ কোথাও নেই। অনেকেই গতকাল রাতে মিঠুনকে হাসানের বাড়িতে আসতে দেখেছেন। এরপর খবর পেয়ে চাঁচল থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশের কাছে লিপি বিবি অভিযোগ করেছেন, তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনই চক্রান্ত করে তাঁর স্বামীকে খুন করেছে। এই ঘটনায় শুধু হাসান ও তার পরিবারের লোকজনই নয়, শ্বশুরবাড়ির প্রতিটি সদস্য দায়ী। লিপির অভিযোগের ভিত্তিতে একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশেরও অনুমান, এই ঘটনার পিছনে হাসানের হাত রয়েছে। পুলিশ মিঠুনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।