ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বামী, জন্মান্ধ দুই ছেলে, সাহায্যে এগিয়ে এলেন জেলাশাসক
top of page

ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বামী, জন্মান্ধ দুই ছেলে, সাহায্যে এগিয়ে এলেন জেলাশাসক

স্বামী ক্যান্সারে আক্রান্ত। দুই ছেলেও জন্মান্ধ। এই পরিস্থিতিতে শ্বশুরমশাইয়ের পেনশনের টাকা দিয়েই সংসার চলছিল। বিপত্তি আসে মাস ছয়েক আগে। মৃত্যু হয় শ্বশুরমশাইয়ের। এরপর থেকে সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছিলেন ওই গৃহবধূ। বিষয়টি জানতে পেরে ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে ছুটে গেলেন জেলাশাসক। প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।


রতুয়া-১ নম্বর ব্লকের রতুয়া গ্রামপঞ্চায়েতের মোমিনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোহম্মদ মুকেসুদ্দিন আহমেদ। মুকেসুদ্দিন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ায় কাজকর্ম করতে পারেন না। স্ত্রী হেনা খাতুন গৃহবধূ। তাঁদের দুই ছেলে রয়েছে। দু’জনে জন্মান্ধ। মুকেসুদ্দিনের বাবা কলকাতা পুলিশে চাকরি করতেন। গত ১৫ বছর ধরে তাঁর পেনশনের টাকাতেই সংসার চলছে। কিন্তু মাস ছয়েক আগে মুকেসুদ্দিন সাহেবের বাবা মোহম্মদ সাজিমুদ্দিনের মৃত্যুর পর পেনশনও বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে কোনোমতে লোকের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন হেনাদেবী।



আজ ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান জেলাশাসক নিতীন সিংঘানিয়া। সঙ্গে ছিলেন রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়, বিডিও রাকেশ টোপ্পো, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মাসুদ রহমান সহ আরও অনেকে৷ জেলাশাসক জানান, এই পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি৷ এই পরিবারের স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে৷ সেটা দেখা হচ্ছে৷ এই পরিবারে একজন ক্যান্সার রোগী রয়েছেন৷ কলকাতার কোনও হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে তাঁর চিকিৎসা করানোর ব্যবস্থা করা হবে৷ দুই অন্ধ ভাই পড়াশোনা করছে। নমিনি ছিল না বলে এই পরিবারের পেনশন নিয়েও কিছু সমস্যা রয়েছে৷ নিয়মে থাকলে এই পরিবারের পেনশনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে৷


হেনাদেবী জানান,

দুই ছেলেই জন্ম থেকে অন্ধ৷ ছেলে দুটো দক্ষিণ ২৪ পরগণায় পড়াশোনা করে৷ স্বামী ক্যান্সারে আক্রান্ত৷ লোকের বাড়িতে কাজ করে কোনওমতে সংসার চালাচ্ছি৷ এতদিন শ্বশুরমশাইয়ের পেনশনে সংসার চলত৷ তিনি মারা যাওয়ার পর আর সেই টাকা পাই না৷ সরকারি সাহায্যের জন্য জেলাশাসক ও বিধায়কের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম৷ জেলাশাসক এসেছিলেন৷ তিনি আমাদের পেনশনের ব্যবস্থা করে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page