ঘরে ঢুকে প্রেমিকাকে ছুরি মেরে খুনের চেষ্টা
মালদা শহরের বড়ো সাঁকো এলাকায় ঘরে ঢুকে প্রেমিকাকে ছুরি মেরে খুনের চেষ্টা করল প্রেমিক। আজ রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। যদিও এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়ে যায় প্রেমিক। গণপ্রহারের পর তাকে তুলে দেওয়া হয়েছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশের হাতে। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
আক্রান্ত কিশোরীর নাম সুষমা মণ্ডল। বয়স ১৬। সাধারণ পরিবারের মেয়ে সুষমা এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিলেও সফল হতে পারেনি। তার বাবা শারীরিকভাবে পঙ্গু। দাদাই মূলত সংসার চালান। তাদের এক আত্মীয়া সুভদ্রা মণ্ডল জানান, বেশ কিছুদিন ধরে সুষমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁদেরই এক আত্মীয় প্রসেনজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে (২৫)। প্রসেনজিৎ কালিয়াচক ২ ব্লকের গীতামোড় এলাকার বাসিন্দা। এদিন সকাল থেকেই তাকে বড়োসাঁকো এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখেন তাঁরা। তিনি তাকে দুপুরের খাবার খেতে বললেও সে খায়নি। রাতে তাঁরা বাড়ির বাইরে বসেছিলেন। তখনই তাঁরা প্রসেনজিতকে একটি ব্যাগ নিয়ে সুষমার ঘরে ঢুকতে দেখেন। তাঁদের সন্দেহ হয়। তাঁরা সেই ঘরে গিয়ে দেখেন, ঘর জুড়ে চাপ চাপ রক্ত। সুষমার পেটের নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে এসেছে। তাঁদের চিৎকারে এলাকার মানুষ প্রসেনজিতকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। গণপ্রহারের পর তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। সুভদ্রাদেবী জানান, সুষমার বিয়ে ঠিক করেছিলেন তার অভিভাবকরা। সম্ভবত সেকারণেই এদিন প্রসেনজিৎ সুষমার উপর হামলা চালায়। তাকে সকাল থেকেই ফোনে ব্যস্ত থাকতে দেখা গিয়েছিল।
ইংরেজবাজার থানার পুলিশ প্রসেনজিতকে আপাতত আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সুষমাকে ভর্তি করা হয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছেন, তার শারীরিক অবস্থা সংকটজনক। এই ঘটনায় পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সুষমার বাড়ির লোকজন।