প্রধান শিক্ষিকা নিয়োগে শিক্ষা দপ্তরের গাফিলতির অভিযোগ
top of page

প্রধান শিক্ষিকা নিয়োগে শিক্ষা দপ্তরের গাফিলতির অভিযোগ

শিক্ষা দপ্তরের গাফিলতিতেই প্রধান শিক্ষিকা নিয়োগ হচ্ছে না ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বালিকা বিদ্যামন্দিরে। জেলা শিক্ষা দপ্তরের বিরুদ্ধে এই রকমই অভিযোগ তুলেছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য মালদা শহরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ছাত্রী সংখ্যা প্রায় চারশো। কিন্তু সেই তুলনায় বিদ্যালয়ে শিক্ষিকার সংখ্যা অপ্রতুল। দীর্ঘদিন যাবৎ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার পদটি শূন্য রয়েছে। এ প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে বিগত ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষিকা রিনা সাহা (সরকার) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর পুজোর ছুটির পরে বিদ্যালয় খুললে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ২৫ অক্টোবর জেলা শিক্ষা দপ্তরে প্রধান শিক্ষিকার শূন্য পদ পূরণের জন্য আবেদন জানানো হয়। সেই বছর ২২ ডিসেম্বর জেলা শিক্ষা দপ্তর আবেদনপত্র গ্রহণ করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা পদ পূরণের জন্য চিঠি দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। চিঠির মেমো নম্বর ৪৫৩৭/১ (আই)/এসডি তারিখ ২২/১২/২০১৭। কিন্তু ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানতে পারে যে, পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রধান শিক্ষিকার শূন্য পদের নামের তালিকায় ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বালিকা বিদ্যামন্দিরের (#ThakurAnukulChandraBalikaVidyamandir) নাম নেই।



এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা পায়েল সরকার জানান, প্রধান শিক্ষিকার শূন্য পদে বিদ্যালয়ের নাম তালিকাভুক্ত না হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে তিনি এই বছরের ২১ জানুয়ারি পুনরায় জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে ও ২৪ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য শিক্ষা দপ্তরে চিঠি পাঠান। কিন্তু তা সত্ত্বেও এক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের নাম তালিকাভুক্ত করা হয় নি। তাঁর অভিযোগ, তাঁদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার শূন্য পদ পূরণের আবেদনের তারিখের পরবর্তী সময়ে যে সকল বিদ্যালয় এই বিষয়ে আবেদন করেছিল, সেই সমস্ত বিদ্যালয়গুলিতে সম্প্রতি প্রধান শিক্ষিকা অথবা প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হলেও এক্ষেত্রে তাঁদের বিদ্যালয়কে বঞ্চিত করা হয়েছে।


বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সভাপতি মহাদেবচন্দ্র দাস ক্ষোভের সঙ্গে বলেন যে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় যা করণীয় ছিল, বিদ্যালয়ের তরফ থেকে তা সবকিছুই জেলা শিক্ষা আধিকারিকের দপ্তরে দাখিল করা সত্ত্বেও কার অঙ্গুলিলেহনে এই ঘটনা ঘটল তা তিনি বুঝতে পারছেন না। প্রধান শিক্ষিকার অভাবে বিদ্যালয়ের পরিচালনা তথা পাঠক্রমের ক্ষেত্রে অসুবিধা হচ্ছে বলে তিনি স্বীকার করেছেন।


এই প্রসঙ্গে জেলার বিদ্যালয় শিক্ষা আধিকারিক তাপসকুমার বিশ্বাসকে প্রশ্ন করা হলে তিনি ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে অস্বীকার করেন। তিনি জানান শিক্ষা দপ্তরের ওয়েবসাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে জেলা শিক্ষা দপ্তরের কোনও ভূমিকা নেই। তিনি বলেন বিষয়টি তাঁর নজরে আছে। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা নিয়োগ করা হবে।


প্রতিদিন মালদার টাটকা নিউজ হোয়াটস্ অ্যাপে পেতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page