‘কাটমানি’র কোপে ঘর মেলেনি স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবারের
top of page

‘কাটমানি’র কোপে ঘর মেলেনি স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবারের

কাটমানির শিকার স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রথম বিধায়কের দুস্থ পরিবার। সরকারি আবাস যোজনার ঘর পাইয়ের দেওয়ার জন্য ওই পরিবারের থেকে ২০ হাজার টাকা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলা হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার তেঁতুলবাড়ি এলাকায়। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়তেই রাজ্যের ও কেন্দ্রের শাসকদল ওই সদস্যকে বিরোধী বলে দাবি করেছে।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হরিশ্চন্দ্রপুরের তৎকালীন আদিবাসী সমাজের নেতা বিরসা ওঁরাও এক সময় গান্ধীজীর ডাকে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে শরিক হয়েছিলেন। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সঙ্গে তিনিও আন্দোলনের অংশীদার হয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভা আসন থেকে প্রথম আদিবাসী বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত বিরসা ওঁরাও। আগামীকাল ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস। তার ঠিক আগে ওই স্বাধীনতা সংগ্রামীর দুস্থ পরিবারের থেকে কাটমানি দাবি করার অভিযোগ উঠল শাসকদলের সদস্যের বিরুদ্ধে।



অভিযোগ, আবাস যোজনায় ঘরের জন্য বহুবার স্থানীয় পঞ্চায়েতে আবেদন করেছিল ওই পরিবার। কিন্তু স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ফুলকুমার হরিজন (বাবুয়া) তাদের জানিয়ে দেন কাটমানি না দিলে ঘর মিলবে না। কাটমানি না দিতে পেরে মেলেনি ঘর। ভরা বর্ষার মধ্যে ভাঙা টালির বাড়িতেই দিন কাটছে ওই পরিবারের।



স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, বর্তমান পরিস্থিতিতে শাসকদলের জনপ্রতিনিধির কাছে আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতই কাটমানির শিকার হতে হচ্ছে স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রথম বিধায়কের পরিবারকেও। শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব ও জেলা প্রশাসনের কাছে বিষয়টির দিকে নজর দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।



আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page