ভাঙন কালিন্দীতে, ঘুম উড়ছে এলাকাবাসীর
কালিন্দী নদীর ভাঙনে দিশেহারা প্রায় দেড়শো পরিবার। বর্তমানে গ্রাম থেকে নদীর দূরত্ব প্রায় ১০ মিটার এমনই দাবি গ্রামবাসীদের। ভাঙনের আতঙ্কে কার্যত ঘুম পড়েছে মালদার মানিকচক ব্লকের চৌকি মিরদাদপুর গ্রামপঞ্চায়েতের সাহেবনগর তিনঘরিয়া এলাকার বাসিন্দাদের। অবিলম্বে ভাঙন রোধের দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।
মানিকচক ব্লকের চৌকি মিরদাদপুর গ্রামপঞ্চায়েতের সাহেবনগর তিনঘরিয়া এলাকায় প্রায় দেড়শো পরিবারের বসবাস। ওই এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে কালিন্দী নদী। টানা বর্ষণের জেরে ফুলে ফেঁপে বর্তমানে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে কালিন্দী। নদীর পাড়ে ক্রমশ ভাঙন হচ্ছে। ভাঙনের তীব্রতায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত দুই বছর ধরে এই নদীর পাড়ে ভাঙন হচ্ছে। গত বছর সেচ দফতরের তত্ত্বাবধানে বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন রোধের কাজ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই কাজে কোনও লাভ হয়নি। সেই কাজের সমস্ত অংশ তলিয়ে গিয়েছে নদীগর্ভে। অধিকাংশ রাস্তা তলিয়ে গেছে নদীতে। এরপরও ভাঙন রোধে কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না এলাকার জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে প্রশাসন।
বুধবার দুপুরে ভাঙন বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান জেলা বামফ্রন্টের প্রতিনিধি দল। ছিলেন বামফ্রন্টের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সম্পাদক দেবজ্যোতি সিনহা সহ জেলা ও ব্লক বামফ্রন্টের নেতৃত্বরা। দেবজ্যোতি সিনহা জানান, এই এলাকায় ভাঙন আটকাতে জন্য এখনো কোনও উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন। মাটি কাটতে কাটতে নদী গ্রামের দিকে এগোচ্ছে। গ্রামকে বাঁচাতে দ্রুত ভাঙন রোধের কাজ করতে হবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কাজ না হলে এলাকার বাসিন্দাদের সাথে নিয়ে আন্দোলনে নামবে বামফ্রন্ট।
[ আরও খবরঃ রাতারাতি কোটিপতি লকডাউনে কাজ হারানো বাদ্যযন্ত্রী ]
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments