সংক্রমণ বাড়ছে পুর এলাকায়, টানা লকডাউনের দাবি উঠছে
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে ৫৩ জন৷ আর শেষ দুই সপ্তাহে মালদা জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও প্রায় এক হাজার মানুষ। এই পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রমণ রুখতে গোটা জেলায় টানা লকডাউন দাবি করছে অনেকেই৷ যদিও তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷ রাজ্য সরকারের গতকালের বুলেটিন অনুযায়ী এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন জেলায় মোট ১৬৭৪ জন, মৃত নয়জন।
দু’দিন খানিকটা নিয়ন্ত্রণে থাকার পর গত ২৪ ঘণ্টায় ফের নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ৫০ পেরিয়েছে জেলায়৷ এর মধ্যে মালদা শহরেই সংক্রমিত হয়েছেন ১৫ জন৷ এই মুহূর্তে শহরে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ৪৬৫৷ গতকাল পুরাতন মালদার কোভিড হাসপাতালে করোনা সংক্রমিত ৬১ বছরের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে৷ তিনি মালদা শহরের এক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত ছিলেন৷ আজ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে করোনা সংক্রমণের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে রতুয়া থানার চার পুলিশকর্মী রয়েছেন৷ পুরাতন মালদা শহরের ১১ জনের লালার নমুনাতেও সংক্রমণ ধরা পড়েছে৷ এছাড়াও সংক্রমিতদের তালিকায় গাজোল এলাকার একাধিক বাসিন্দা রয়েছে৷
[ আরও খবরঃ মালদায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়াল ]
গত এক সপ্তাহের করোনা চিত্র চিন্তা বাড়িয়েছে জেলার দুই পুর এলাকার বাসিন্দাদের৷ দুই শহরেই হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ৷ সংক্রমণে রাশ টানতে অনেকেই দুই শহরে টানা লকডাউনের দাবি তুলেছে৷ তাদের বক্তব্য, একমাত্র কঠোর লকডাউনই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে৷ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন সেখানে আগামী ৩০ জুলাই পর্যন্ত টানা লকডাউন ঘোষণা করেছে৷ ওই জেলার থেকে মালদায় সংক্রমণের হার অনেক বেশি৷ তাহলে মালদা জেলা প্রশাসন তেমন কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না কেন? এই প্রশ্ন তুলেছে দুই শহরের বাসিন্দাদের একাংশ৷ যদিও এনিয়ে এখনও প্রশাসনের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷ ইদের আগে প্রশাসন এমন কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে প্রশাসনের একাংশেরই৷
টপিকঃ #CoronaVirus
تعليقات