আর্চারি অ্যাকাদেমিতে প্রশিক্ষণের সুযোগ পেল মালদার ১০ ক্ষুদে
বাড়িতে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার মতো কোনও সরঞ্জাম নেই। অগত্যা বাঁশের তীর ধনুকই সম্বল। কিন্তু লক্ষ্য তাদের স্থির, একজন ভাল তিরন্দাজ হওয়া। আর তাদের স্বপ্ন অবশেষে পূরণ হতে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দপ্তরের অধীন ঝাড়গ্রাম আর্চারি অ্যাকাদেমিতে চার বছরের জন্য আবাসিক প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত হয়েছে মালদা জেলার ১০ ক্ষুদে তিরন্দাজ। এদের নাম নীতিশ বর্মন, জুয়েল সরকার, অপূর্ব সরকার, কর্ণ সরকার, গণেশ টুডু, বসন্ত সরকার, রুমা বিশ্বাস, চুমকি মণ্ডল, রুমা সরকার ও সীমা মুর্মু। এদের বয়স আট থেকে ১৪ বছর। প্রত্যেকেই গাজোল ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দা। গত ১০ থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত জলপাইগুড়ি স্পোর্টর্স কমপ্লেক্সে আয়োজিত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিকে নিয়ে এক প্রশিক্ষণ শিবিরে মালদা জেলা থেকে উক্ত ১০ জন নির্বাচিত হয়েছে। উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলির মধ্যে কোচবিহার থেকে এক জন, জলপাইগুড়ি থেকে ছয় ও আলিপুরদুয়ার থেকে এক জন নির্বাচিত হয়েছে। এদের কোচ শ্রীমন্ত চৌধুরি বলেন যে মালদা জেলা থেকে ১৮ জনের একটি দল এই প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশগ্রহণ করেছিল তার মধ্যে ১০ জন ঝাড়গ্রামের আর্চারি অ্যাকাদেমিতে সরকারি খরচে আবাসিক হিসাবে লেখাপড়া ও তিরন্দাজি প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবে।