আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Aug 19, 2023

ভাঙন থেকে বাঁচতে মা গঙ্গার পুজো করলেন মহিলারা

প্রশাসনের ওপর ভরসা হারিয়ে ভাঙনের হাত থেকে বাঁচতে শেষমেশ মা গঙ্গার দ্বারস্থ হলেন গ্রামবাসীরা। ভাঙন আটকাতে মা গঙ্গার পুজো করলেন পশ্চিমরতনপুর গ্রামের মহিলারা। তাঁদের দাবি, প্রশাসন বাঁধ মেরামতির কাজ থেকে হাত তুলে নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের বাঁচাতে পারে একমাত্র মা গঙ্গা। তাই তাঁরা মায়ের পুজো করছেন।

এবছর এখনও সেভাবে বর্ষার দেখা না মিললেও মরশুমের প্রথম থেকেই ফুঁসছে গঙ্গা। ভূতনি চরের একটি বাঁধ প্রায় ৮০ শতাংশ ভেঙে গিয়েছে৷ ভাঙতে শুরু করেছে আরও একটি বাঁধ৷ ইতিমধ্যে নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে মানিকচকের উত্তর ও দক্ষিণ চণ্ডীপুর এবং হীরানন্দপুর, রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের মহানন্দটোলা ও বিলাইমারি গ্রামপঞ্চায়েতের বহু বাড়ি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ভাঙন রোধের কাজে প্রশাসন হাত তুলে নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের একমাত্র ভরসা মা গঙ্গা। তাই গঙ্গাকে শান্ত করতে পুজো করছেন তাঁরা।

পশ্চিম রতনপুর গ্রামের মহিলা ঝাক্কা চৌধুরি জানান, ক্রমাগত নদী পার কাটছে গঙ্গা। বহু বাড়ি ঘর গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে। এখনও ভাঙন চলছে। মধ্যেমধ্যে বিডিও-ডিএম আসেন, দেখে চলে যান৷ কোনও কাজ হয় না৷ তাই গঙ্গাকে তুষ্ট করতে গ্রামের মহিলারা একত্রিত হয়ে গঙ্গা পুজো করা হয়েছে।

বিলাইমারি গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান রামলাল চৌধুরি জানান, এনিয়ে সাতবার ভূতনির বাঁধ ভাঙল৷ যখনই বাঁধ ভেঙেছে, মোটা অংকের টেন্ডার হয়েছে৷ ঠিকাদাররা লুট করেছে৷ এই সমস্ত কারণে আজ ভূতনির এই অবস্থা। বর্তমানে ভূতনির আয়তন ৫০ শতাংশ কমে গিয়েছে৷ কিছুদিনের মধ্যে জলস্তর বাড়তেই ভূতনির পাশাপাশি বিলাইমারি আর মহানন্দটোলাও জলে তলিয়ে যাবে।

রতুয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মোহম্মদ আতাউর রহমান জানান,

পশ্চিম রতনপুর বাঁধ কেটে গিয়েছে৷ বেশ কয়েকটি গ্রাম নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার প্রহর গুনছে৷ লক্ষাধিক মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন৷ গঙ্গাকে তুষ্ট করতে স্থানীয় মহিলারা মা গঙ্গার পুজো করেছেন।

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন