আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Mar 1

ঘোষণার আগেই নির্বাচন বয়কটের ডাক, সেতু সমস্যায় ক্ষোভ

এখনও লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হয়নি। তার আগেই ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি গ্রামবাসীদের। পাকা সেতুর দাবিতে সরব হয়েছে পড়ুয়ারাও। ঘটনাটি রতুয়া-১ ব্লকের মহানন্দটোলা গ্রামপঞ্চায়েতের এলাকার।

মহানন্দটোলা গ্রামপঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর গ্রামে হাজার খানেক মানুষের বসবাস। ওই গ্রামের মানুষদের ফুলহর নদীর ক্যানাল পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয়৷ আর ক্যানাল পেরোনোর ভরসা বাঁশের সাঁকো। বর্ষার সময় সেই সাঁকোও জলের তলায় চলে যায়। সেই সময় নদী পারপারের জন্য নৌকোর ওপরেই ভরসা রাখতে হয় ওই এলাকার বাসিন্দাদের। পাকা সেতু না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয় রোগী থেকে থেকে শুরু করে পড়ুয়া, কৃষিজীবী সকলকেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পাকা সেতুর দাবিতে স্থানীয় বিধায়ক সহ প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।

বাঁশের সাঁকো দিয়ে স্কুলের পথে পড়ুয়ারা।

স্থানীয় বাসিন্দা মোহম্মদ হোসেন জানান, শুধু গোবিন্দপুর নয়, পাশের ব্লকের হাতিচাপা এলাকার বাসিন্দাদের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা এই সেতু। এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষ চাষের ওপর নির্ভরশীল। এই সেতু দিয়ে হাল-বলদ নিয়ে যাওয়া যায় না। পাকা সেতুর দাবিতে আমরা জন প্রতিনিধি, বিডিও, সেচ দফতরের এগজিকিউটিভ ম্যানেজার, জেলাশাসক সকলকে চিঠি দিয়েছি। বিধায়ক বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান না হলে আমরা ভোট বয়কট করতে বাধ্য হব।

এক ছাত্রী মৌসম জানান, বেহাল সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে সাইকেল ভেঙে যায়। অনেকেই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে জলে পড়ে যান। রোগী নিয়ে যেতে আরও বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। আমরা একটা স্থানীয় ব্রিজ চাই।

মালদা জেলাপরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ফজলুল হক জানান,

গ্রামবাসী দাবি ন্যায্য। তবে ভোট বয়কট করে সমস্যার সমাধান হয় না৷ ২০২১ সালে আমরা ব্রিজ তৈরির চেষ্টা করেছিলাম৷ সেই সময় টাকার অভাবে কাজ করা যায়নি৷ এবার আমরা জেলাপরিষদের দায়িত্বে৷ এবার ব্রিজের কাজ করা যাবে।

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন