আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
Dec 13, 2019
Updated: Sep 24, 2020
শুক্রবার সকালে ধৃত বাপন ঘোষকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ধৃত পুলিশকে সমস্ত ঘটনা জানায়। ধৃত জানায়, ওই যুবতির মোবাইল তার বাড়ির গোয়াল ঘরে মাটির নিচে পুঁতে রাখা আছে। এরপরেই পুলিশকর্মীরা বাপনকে সঙ্গে নিয়ে মৃত যুবতির মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বাপন সহ তার স্ত্রী ও দুই যুবককে আটক করেছিল পুলিশ। তবে গতকাল রাতে বাপনের স্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আরও জানা গেছে, বাপন জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে সমস্ত ঘটনা সে নিজেই ঘটিয়েছে। তবে বাপনের এই বক্তব্য মানতে রাজি হয়নি পুলিশ।
পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানান, ২ ডিসেম্বর রাতে ধানতলার আমবাগানে সে ওই যুবতিকে নিয়ে মদ খায়। বাপনের সন্দেহ ছিল ওই যুবতির অন্য কারো সাথে সম্পর্ক রয়েছে। এনিয়ে দুজনের মধ্যে বচসা হয়। এরপরেই বাপন গলা টিপে যুবতিকে হত্যা করে। পরে যুবতির মৃতদেহ পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। বাপন পরিকল্পনামাফিক আগে থেকে পেট্রোল জোগাড় করে রেখেছিল। সেই মতো সে মৃত যুবতিকে ঘটনাস্থলে নিয়ে এসে হত্যা করে। এই ঘটনায় আরও দুই যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে আপাতত এই ঘটনার সঙ্গে তাদের সরাসরি কোনও যোগসূত্র মেলেনি।
ছবিটি প্রতীকী।