আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Nov 29, 2017

গৌড়বঙ্গে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন

Updated: Sep 17, 2020

প্রথম অভিযোগ করে জেলা বিজেপি, পরবর্তীতে সেই একই অভিযোগ শোনা গিয়েছিল খোদ শিক্ষামন্ত্রীর গলায়৷সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জেলাশাসককে তদন্তের নির্দেশও দেয় রাজ্য উচ্চশিক্ষা দপ্তর৷অবশেষে রাষ্ট্রীয় উচ্চতর শিক্ষা অভিযানের (রুশা) পাঠানো প্রায় ৮ কোটি টাকা খরচে বেনিয়মের অভিযাগ নিয়ে তদন্তের জন্য ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করলেন জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য৷অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) আর ভিমলাকে এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে৷ জানা গিয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি এই কমিটি তদন্তের কাজ শুরু করতে চলেছে৷ কিন্তু এনিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক৷ সুব্রতকুমার মল্লিক নিজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কমিটির সদস্য৷ তাঁকে কীভাবে এই তদন্ত কমিটিতে রাখা হল তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন৷এই বিষয়টি জেলাশাসকের নজরে আনার চেষ্টা করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মহল৷

প্রায় ১৬ কোটি টাকা রুশার পক্ষ থেকে এসেছে৷সেই টাকার প্রায় অর্ধেক বিভিন্ন খাতে খরচও করে ফেলেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷কিছুদিন এনিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ আনে জেলা বিজেপি

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য কয়েক দফায় প্রায় ১৬ কোটি টাকা রুশার পক্ষ থেকে এসেছে৷সেই টাকার প্রায় অর্ধেক বিভিন্ন খাতে খরচও করে ফেলেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷কিছুদিন এনিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ আনে জেলা বিজেপি৷ তারা এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল, রাষ্ট্রীয় উচ্চতর শিক্ষা অভিযান কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য সরকারের কাছে লিখিত অভিযাগও জানায়৷ এরপরেই নড়েচড়ে বসে সব মহল৷বিদায়ি উপাচার্য গোপালচন্দ্র মিশ্রের পদত্যাগের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও এই অভিযোগের অবতারণা করেন৷ অবশ্য গত ৭ নভেম্বরই রুশার ডেপুটি স্টেট প্রজেক্ট ডিরেক্টর এই অভিযোগের তদন্তের জন্য জেলাশাসককে নির্দেশ দেন৷শেষ পর্যন্ত জেলাশাসক সেই তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করলেন৷

এই কমিটিতে অতিরিক্ত জেলাশাসক আর ভিমলা ছাড়াও আর যে ৪ জনকে রাখা হয়েছে তাঁরা হলেন অতিরিক্ত ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক হিমাদ্রি সরকার৷ সিনিয়র ডেপুটি কালেক্টর সুধাংশু পাইক, ট্রেজারি অফিসার অরুণাংশু কর ও জেলা পূর্ত দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুব্রতকুমার মল্লিক৷এই কমিটি রুশার টাকায় হওয়া বিভিন্ন কাজের মান, ধরণ, পদ্ধতি, কোথাও কোনও আর্থিক অনিয়ম হয়েছে কিনা সেই বিষয়গুলি তদন্ত করে রিপোর্ট দেবে৷সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রুশার অর্থে কোনও কাজ করতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে৷

প্রতীকী ছবি সৌজন্যে পিক্স অ্যাবে।