অনিরুদ্ধ দাশগুপ্ত

Jan 2, 2020

গম্ভীরা মঞ্চের উদ্বোধন করলেন কাউন্সিলর

মালদা জেলার অন্যতম লোকসংস্কৃতি গম্ভীরা৷

ইন্টারনেটের যুগে দিনে দিনে যেন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে এই উৎসব। বর্তমান প্রজন্মের কাছে এই উৎসবকে বাঁচিয়ে রাখতে গতকাল ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে গম্ভীরা মঞ্চের উদ্বোধন করেন কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ দাস।

গম্ভীরা গান মূলত শিব বন্দনা৷

এই উৎসবের প্রবক্তা ছিলেন দিনাজপুরের শিবভক্ত বানরাজারা, এমনটাই প্রচলিত আছে৷ সমাজ ও গ্রাম শাসনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল গম্ভীরা গানের৷জেলার এই শিল্পকে জেলা-রাজ্য ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন জেলার একাধিক শিল্পী। যোগেন্দ্রনাথ চৌধুরি (মটরবাবু), তপন হালদার, দোকড়ি চৌধুরি, নির্মলচন্দ্র দাসরা (নীরুবাবু) আজও নিজেদের শিল্পের জন্য জেলায় খ্যাত৷ অ্যামেরিকা, ইংল্যান্ড, রাশিয়া ছাড়াও আরোও বেশ কয়েকটি জায়গায় গম্ভীরা পরিবেশন করেছিলেন জেলার শিল্পীরা৷

প্রসেনজিৎ দাস, ইংরেজবাজার পুরসভার কাউন্সিলর

জেলার ইতিহাসকে চেনায় গম্ভীরা৷ কিন্তু এই গম্ভীরা জেলা থেকে ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে৷ পুড়াটুলি থেকেই একসময় প্রচুর শিল্পী জেলার বাইরেও এই গম্ভীরাকে চিনিয়েছিলেন।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যেন বিলুপ্ত হতে চলেছে গম্ভীরা। স্মার্টফোন, ইন্টারনেটের যুগে জেলার কিছু শিল্পী এই গম্ভীরাকে বাঁচিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। বর্তমান প্রজন্মের কাছে গম্ভীরার প্রাথমিক ধারণা তুলে ধরতে ইংরেজবাজার পুরসভার কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ দাস নতুন বছরে গম্ভীরা মঞ্চের উদবোধন করেন।

তিনি বলেন, জেলার ইতিহাসকে চেনায় গম্ভীরা৷ কিন্তু এই গম্ভীরা জেলা থেকে ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে৷ পুড়াটুলি থেকেই একসময় প্রচুর শিল্পী জেলার বাইরেও এই গম্ভীরাকে চিনিয়েছিলেন। সেই ইতিহাসকে স্মরণীয় করে রাখতে পুড়াটুলিতে গম্ভীরা মঞ্চ স্থাপন করা হয়েছে।