আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
Apr 19, 2019
Updated: Sep 18, 2020
মৃতের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে হেপাজুদ্দিনের
এরপর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও নার্সদের বেধড়ক মারধর করেন মৃতের পরিবারের লোকজন৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় রতুয়া থানার পুলিশও৷ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে পুলিশ৷ তারই ভিত্তিতে গতকাল রাতে গ্রেফতার করা হয় হেপাজুদ্দিনের দুই ভাই সালাউদ্দিন ও সাহাবুদ্দিনকে৷ তাঁদের আজ চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে৷ এলাকার স্বাস্থ্যকর্তা হুমকি দিয়েছেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিগ্রহের ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেফতার না করা হলে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মবিরতি পালন করা হবে৷ স্বাস্থ্য আধিকারিক মাসুদ রহমান জানিয়েছেন, আহত হেপাজুদ্দিনের যথাযথ চিকিৎসা হয়েছে৷ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মজুত থাকা ওষুধপত্র তাঁকে দেওয়া হয়েছিল৷ তাঁকে ইনজেকশনও দেওয়া হয়৷ রাতে তাঁর মৃত্যু হয়৷ এরপরেই মৃতের বাড়ির লোকজন চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের বেধড়ক মারধর করে৷
মৃতের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে হেপাজুদ্দিনের৷ আহত অবস্থায় তাঁকে সাথেসাথে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসা শুরু হতে বেশ সময় লাগে৷ হেপাজুদ্দিনের আঘাত লেগেছিল মূলত বাম পায়ে৷ একটি ইনজেকশন দেওয়ার পর তাঁর অবস্থায় অবনতি হতে থাকে৷ শেষ পর্যন্ত রাতে মারা যান তিনি৷