আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Apr 19, 2019

সামসিতে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যোগ দিতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত যুবক

Updated: Sep 18, 2020

গতকাল মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মালদায়। জেলায় তিনটি নির্বাচনী সভাও করেন তিনি। এছাড়া ইংরেজবাজারে রাস্তাতেও হাঁটেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই ব্যস্ততম দিনে তাঁর সামসি জনসভায় যাওয়ার পথে বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক তৃণমূলকর্মীর৷ মৃতের নাম হেপাজুদ্দিন৷ পেশায় ট্র্যাক্টর চালক, বয়স আনুমানিক ২৫ বছর৷ বাড়ি বিলাইমারি গ্রামপঞ্চায়েতের রুহিমারি গ্রামে৷ সামসি কলেজ মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে গতকাল দুপুরে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন৷ পথে ভাদো ব্যাংক মোড় এলাকায় তিনি মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে রাস্তায় পড়ে যান৷ প্রথমে তাঁকে রতুয়া ব্লকের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা করেন ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবর আলি৷ রাতে মৃত্যু হয় হেপাজুদ্দিনের৷

মৃতের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে হেপাজুদ্দিনের

এরপর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও নার্সদের বেধড়ক মারধর করেন মৃতের পরিবারের লোকজন৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় রতুয়া থানার পুলিশও৷ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে পুলিশ৷ তারই ভিত্তিতে গতকাল রাতে গ্রেফতার করা হয় হেপাজুদ্দিনের দুই ভাই সালাউদ্দিন ও সাহাবুদ্দিনকে৷ তাঁদের আজ চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে৷ এলাকার স্বাস্থ্যকর্তা হুমকি দিয়েছেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিগ্রহের ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেফতার না করা হলে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মবিরতি পালন করা হবে৷ স্বাস্থ্য আধিকারিক মাসুদ রহমান জানিয়েছেন, আহত হেপাজুদ্দিনের যথাযথ চিকিৎসা হয়েছে৷ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মজুত থাকা ওষুধপত্র তাঁকে দেওয়া হয়েছিল৷ তাঁকে ইনজেকশনও দেওয়া হয়৷ রাতে তাঁর মৃত্যু হয়৷ এরপরেই মৃতের বাড়ির লোকজন চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের বেধড়ক মারধর করে৷

মৃতের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে হেপাজুদ্দিনের৷ আহত অবস্থায় তাঁকে সাথেসাথে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসা শুরু হতে বেশ সময় লাগে৷ হেপাজুদ্দিনের আঘাত লেগেছিল মূলত বাম পায়ে৷ একটি ইনজেকশন দেওয়ার পর তাঁর অবস্থায় অবনতি হতে থাকে৷ শেষ পর্যন্ত রাতে মারা যান তিনি৷