আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Sep 24, 2019

দিনে দিনে বৃদ্ধাশ্রমে ভিড় বৃদ্ধি হবে মালদায়

Updated: Aug 13, 2020

বর্ষার কালো মেঘ বিদায় নিয়েছে অনেক আগেই। নীল আকাশে সাদা পেঁজা পেঁজা ভাসমান আঁকিবুঁকি মেঘ যেন উঁকি দিয়ে বলছে শরৎ এসে গেছে। সময় হয়ে গেছে প্রবাসী বাঙালিদের ঘরে ফেরার আর ক্লান্তি ভুলে প্রধান উৎসব দুর্গাপুজোর আনন্দে মেতে উঠবার। আগমনীর এই বার্তাকে গ্রহণ করে তাঁর আরাধনা করতে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও কোমর বেঁধে উমাকে ঘরে তুলতে নেমে পড়েছেন মালদার দিলীপ স্মৃতি সংঘের এই দুর্গাপুজো কমিটির কর্মকর্তারা। এ বছর এই দুর্গাপূজা কমিটির দুর্গোৎসব ৬৮ তম বছরে পা রাখবে। পুজো উপলক্ষ্যে এবছর বাজেট ৬ লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়েছে।

এবছর দিলীপ স্মৃতি সংঘের পুজো কমিটির থিম ‘মা কেন বৃদ্ধাশ্রমে?’ বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তীর সেই বিখ্যাত বৃদ্ধাশ্রম গানের বাস্তব রূপ ফুটে উঠবে মণ্ডপে তৈরি বিভিন্ন মূর্তিতে। মণ্ডপের একদিকে মা যেমন তাঁর বাচ্চাকে যত্নে দুধ খাইয়ে দেওয়া দৃশ্যমান হবে। অপরদিকে ছেলে-বৌমা বৃদ্ধা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে নিয়ে যাওয়ার কাহিনীও। এখানে কোথাও মা গর্ভবতী আবার কোথাও ছেলেমেয়ে বড়ো হয়ে যাওয়ার পর মায়ের একা হয়ে যাওয়ার গল্প বলা হয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় ৩০টি মডেল গড়েছেন মৃৎশিল্পী রাজকুমার পণ্ডিত। ‘আমার’ বৃদ্ধা মা ও তাঁকে ঘিরে রোজকার নানান পারিবারিক অশান্তির চিত্ররূপ নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন থিমমেকার কৃষ্ণকুমার দাস ও সমীর কুণ্ডু। মণ্ডপের প্রস্তুতি এখন জোরকদমে এবং হৃদয়স্পর্শী এই থিম সেরা হওয়ার দৌড়ে যে এগিয়ে থাকবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মণ্ডপের থিম অনুযায়ী শিল্পী রাজকুমার পণ্ডিতের হাতে আধুনিক মূর্তি তৈরি হচ্ছে। এখানে ঠাকুর ঘরের সিংহাসনে বিরাজমান হবেন মা দুর্গা।

দিলীপ স্মৃতি সংঘের এই দুর্গোৎসব কমিটির সম্পাদক সর্বজিৎ দাস। তিনি আমাদের পুজো এলো রে টিমের সদস্যকে জানালেন, এই বছর বৃদ্ধাশ্রমকে থিম করা হয়েছে কারণ মা যে আমাদের শ্রেষ্ঠ সম্পদ, অবহেলার বস্তু নয় বার্তাটি তাঁরা জনগণকে দিতে চান।