আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Sep 18, 2019

মহানন্দা পাড়ের এশহরে কল্যাণ গ্রিন সিটি প্রকল্প

Updated: Aug 13, 2020

এই শহরকে আধুনিক হতে আরও কতটা পথ হাঁটতে হবে তা নাকি এবার পুজোর থিম বুঝিয়ে দিবে। মহানন্দার তীরে দক্ষিণ বালুচরের ডাকসাইটে পুজো কল্যাণ সমিতি। দুর্গাপুজোয় এবছর ক্লাব কর্তৃপক্ষ তৈরি করে ফেলেছে আস্ত একটি শহর। সমস্তরকম শহরকেন্দ্রিক সুযোগসুবিধা সমৃদ্ধ এই সিটির নাম দেওয়া হয়েছে কল্যাণ গ্রিন সিটি। উল্লেখ্য, গতবছর গ্রামবাংলা তৈরি করে জেলায় বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছিল এই পুজো কমিটি।

উন্নত পরিষেবা পাওয়ার আশায় প্রতিনিয়ত ভিড় বাড়ছে শহরে। যদিও প্রায় প্রতিদিনই এলাকার নানা রাস্তা সংস্কারের দাবি উঠে আসছে। বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা, জমা জল, যানজট নানান সমস্যা থাকা সত্ত্বেও দিনের পর দিন মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে একাধিক বাড়ি, শপিং কমপ্লেক্স, হোটেল। এই শহর গ্রিন সিটির সাফল্যে কতটা বিজয়ী তা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে, তবে এসবের মাঝেও দক্ষিণ বালুচরের কল্যাণ সমিতির পুজোর থিম বিশ্ব বাংলা গ্রিন সিটি।

পুজো কমিটির কর্ণধার আমাদের ‘পুজো এল রে’ টিমকে জানালেন, আনুমানিক চল্লিশ লক্ষ টাকার বাজেটে এবারে দেখতে পাওয়া যাবে একটি আধুনিক শহর। মূলত প্লাইউড, বাঁশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে এই মণ্ডপ। মাঠের মধ্যে ঢুকলেই প্রথমে চোখে পড়বে ‘বিশ্ব বাংলা’র সুবিশাল গেট। মণ্ডপের দিকে এগোতে থাকলে অন্য এক শহরে ঢুকে পড়বেন আপনি, নজর কাড়বে বড়ো বড়ো আবাসন, পথসাথী হোটেল, শপিংমল, হাসপাতাল, নার্সিংহোম, বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি। শহর ছেড়ে গ্রিন সিটির পুজো মণ্ডপে আসতেই দেখা মিলবে মৃৎশিল্পী অষ্টম চৌধুরির সাবেকি দেবী দুর্গা। মা দুর্গা পাঁচ মাথা অসুর বধ করছেন। কল্যাণ সমিতির গ্রিন সিটিতে দর্শনার্থীদের মন মাতাতে থাকছে আবহসঙ্গীত।

কল্যাণ সমিতির এই গ্রিন সিটি কি ২০১৮-র গ্রাম বাংলাকে টেক্কা দিতে পারবে, সেই গুরু দায়িত্ব দর্শনার্থীদের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ।