আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Sep 19, 2018

মেডিকেল কলেজে বিক্ষোভের মুখে স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য

Updated: Mar 16, 2023

এদিন সকালে মালদা মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে আসেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য৷ প্রথমেই তিনি জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ও মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেন৷ আলোচনা শেষ করে তিনি মাতৃমা ভবন পরিদর্শন করতে যান৷ সেখান থেকে বেরিয়ে আসতেই তিনি উত্তেজিত জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়েন৷ বিক্ষোভের হাত থেকে বেরিয়ে কোনও রকমে হাসপাতাল চত্বর ছাড়েন তিনি৷ তবে মন্ত্রী বেরিয়ে যাওয়ার পরেও ক্ষিপ্ত মানুষজনের হাতে ঘেরাও থাকেন জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য৷

সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়ে কার্যত পালিয়ে যান স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী৷ বিক্ষুব্ধ মানুষ তাঁকে একাধিক অভিযোগ জানালেও কারোর সঙ্গেই কথা বলেননি তিনি৷ ছবিঃ মিসবাহুল হক

এই ঘটনায় এদিন মেডিকেল কলেজে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়৷ মন্ত্রীকে কোনও রকমে গাড়িতে তুলে দেন নিরাপত্তাকর্মীরা৷ মেডিকেল কলেজে বৈঠক সেরে বেরিয়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা তাঁর রুটিন ভিজিট ছিল৷ তিনি যেখানেই যান, সেখানকার স্বাস্থ্য পরিষেবা খতিয়ে দেখেন৷ মালদাতেও তাঁর ব্যতিক্রম হয়নি৷ মালদা মেডিকেলে চিকিৎসকদের গরহাজিরা নিয়ে মাঝেমধ্যেই প্রশ্ন ওঠে৷ এনিয়ে প্রশ্ন করলে চন্দ্রিমা বলেন, এব্যাপারে তাঁদের কাছে কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ নেই৷ অভিযোগ পেলে তা তাঁরা খতিয়ে দেখবেন৷ মেডিকেলে প্রয়োজনের তুলনায় কম চিকিৎসক প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, তাঁরা বারবার বলেন, ২০১১ সালের আগে একদিকে নিয়োগ যেমন বন্ধ ছিল, অন্যদিকে প্রচুর চিকিৎসক অবসর নিয়েছিলেন৷ ফলে এক্ষেত্রে একটি বড়ো ফাঁক তৈরি হয়৷ সেই ফাঁক বন্ধ করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সাল থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছেন৷ তিনি রাজ্যে অনেক নতুন মেডিকেল কলেজ করেছেন৷ আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে আরও ৫টি মেডিকেল কলেজে পঠনপাঠন শুরু হবে৷ মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে যেভাবে কাজ হচ্ছে, তা যদি ২০১১ সালের আগে হত তবে এই সমস্যা দেখা দিত না৷ মাতৃমা থেকে বেরিয়ে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়ে কার্যত পালিয়ে যান স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী৷ বিক্ষুব্ধ মানুষ তাঁকে একাধিক অভিযোগ জানালেও কারোর সঙ্গেই কথা বলেননি তিনি৷

মন্ত্রীকে কিছু বলতে না পেরে উপস্থিত মানুষজন জেলাশাসককে ঘেরাও করেন৷ তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পর জেলাশাসক বলেন, এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রোগীদের অসম্ভব চাপ থাকে৷ ফলে একটি বেডে দুই বা তার বেশি রোগী থাকতে বাধ্য হন৷ এখানে বেশিরভাগ বাচ্চাই সুস্থ রয়েছে৷ দু’চারটি বাচ্চা অসুস্থ থাকায় তাদের বাবা-মায়েরা চিন্তায় রয়েছেন৷ তা থেকেই কখনও কখনও মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়েন৷ এদিনের ঘটনার পিছনেও সেটাই কারণ৷

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন