আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Nov 16, 2017

পুলিশ দিয়ে বিজেপি নেতা-কর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছেঃ দিলীপ ঘোষ

Updated: Feb 25, 2023

দলীয় কর্মসূচিতে জেলায় এসে সাংবাদিকদের সামনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করলেন ‘অনেক কিছু কামিয়েছে৷ কিন্তু এখন কামানোর জায়গা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে৷ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গো-হত্যার পক্ষে ছিলেন, এখন তিনিই ব্লকে ব্লকে গোরু দান করছেন৷ কী কারণে এই গোরু দান, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে৷ এই গোরুগুলি এখানে থাকবে, নাকি বাংলাদেশে চলে যাবে, সেটাই এখন বড়ো প্রশ্ন৷’ একই সঙ্গে তিনি এদিন পরিষ্কার ইঙ্গিত দিয়েছেন, পাহাড়ে তাঁরা গুরুং-এর সঙ্গেই আছেন৷ এদিন বীরভূম প্রসঙ্গ নিয়েও মন্তব্য করেন দিলীপবাবু৷

এদিন কালিয়াচক ৩ ব্লকের রাজনগর ও বামনগোলা ব্লকের পাকুয়াহাটে জনসভায় অংশ নেবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি৷ তিনি জানান, ওই দুই জায়গায় অন্যান্য দল থেকে প্রচুর নেতা-কর্মী তাঁদের দলে যোগ দেবেন৷ এই দুই জনসভা ছাড়াও এদিন বিকেলে জেলা বিজেপির সদর দপ্তরে সাংগঠনিক সভায় অংশ নেবেন তিনি৷ উত্তরবঙ্গে তাঁদের সংগঠন বেশ ভালো৷ সেই সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে তিনি উত্তর সফরে রয়েছেন৷ তাঁদের এই উত্থানে তৃণমূল দৃশ্যতই ভয় পেয়ে গিয়েছে৷ কারণ, শাসকদলেরই বেশিরভাগ নেতা-কর্মী তাঁদের দলে যোগ দিচ্ছেন৷ রাজনৈতিকভাবে এর মোকাবিলা করতে পারছে না তৃণমূল৷ তাই পুলিশ দিয়ে তাঁদের দলের নেতা-কর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছে৷ আশঙ্কা থেকেই গতকাল কোচবিহারের হরিণচওড়ায় তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ৷ এতে অবশ্য তাঁদের ক্ষতির পরিবর্তে লাভই হচ্ছে৷

এদিকে গতকালই বীরভূমে আবদুল মান্নান ও বিকাশ ভট্টাচার্যকে আটকে দেওয়া হয়৷ সেখানে রাজনৈতিক সংঘর্ষ বাধে৷ তা নিয়ে প্রকাশ্যে পুলিশ প্রশাসনকে হুমকি দিয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷ সেই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এদিন দিলীপবাবু বলেন, বীরভূম সমাজবিরোধীদেরই জায়গা৷ আর সেই সব দুষ্কৃতীদের নিয়ন্ত্রণ করেন সেখানকার জেলা তৃণমূল সভাপতি৷ ওই জেলার বালি খাদান, পাথর খাদান, কয়লা খাদান থেকে তোলা আদায় করে তৃণমূল৷ তাই সেখানে সবাইকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়৷ সিপিএম এখন আর কোনও বিরোধিতা করতে পারে না৷ তারা শুধু খোঁচা দেয়৷ ময়দানে নেমে এখন তাঁরাই এই সব সমাজবিরোধীদের বিরোধিতা করছেন৷ ওই জেলার তৃণমূল সভাপতি পুলিশকে মারবেন বলে গরম গরম ভাষণ দেন৷ কিন্তু এখন ওদের পার্টি অফিসেই বোমা ফাটছে৷ তাঁদেরই বিধায়ক আক্রান্ত হচ্ছেন৷ নিজেদের মধ্যে মারামারিতে খুন হচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা৷ ওই জেলায় এক ভয়ঙ্কর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে৷ সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে৷ তোলা আদায়ের টাকা পার্টি ফান্ডে না ঢোকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপো দলের লোকদেরই বিশ্বাস করেন না৷ তাই তাঁরা টাকা তোলার ভার দিয়েছেন পুলিশকে৷ সারা রাজ্য জুড়েই পুলিশ সেই কাজ করে যাচ্ছে তৃণমূলের ক্যাডার হয়ে৷

দিলীপবাবু এদিন পরিষ্কার ইঙ্গিত দিয়েছেন, পাহাড়ে তাঁরা বিমল গুরুং-এর পাশেই রয়েছেন৷ প্রথমে তিনি বলেন, তাঁরা গুরুং-এর সঙ্গে নেই৷ গুরুং-এর দল আলাদা, তাঁদের আলাদা৷ গুরুং-এর সঙ্গে তাঁদের নির্বাচনি জোট হয়েছিল৷ অবশ্য পরমুহূর্তেই তিনি বলেন, গুরুং এখনও পাহাড়ের নেতা৷ ওরা জোর করে বিনয় তামাংকে নেতা বানিয়েছে৷ কিন্তু বিনয় তামাং ভয়ে বাড়ি থেকে বেরোতে পারে না৷ সে আবার কী নেতা হবে? তাই গুরুংকে আটকে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে যাতে টিএমসি দাঁড়াতে পারে৷ কিন্তু টিএমসি বা তামাং, কেউই সেখানে দাঁড়াতে পারবে না৷ গুরুং-এর বিরুদ্ধে যে অবিচার হচ্ছে, রাজনৈতিক জোটের সদস্য হিসেবে তাঁরা এর প্রতিবাদ করছেন৷

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন