আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Mar 22, 2018

মোদির ফানুস ফেটে গিয়েছেঃ শুভেন্দু

Updated: Feb 27, 2023

আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদা জেলায় বিজেপিকে কোনও গুরুত্বই দিচ্ছে না শাসকদল। বুধবার মালদায় তৃণমূল পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যে এমনটাই প্রকাশ পেল। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে তিনদিনের সফরে মালদায় এসেছেন শুভেন্দুবাবু। বুধবার দুপুরে তিনি প্রথম সভাটি করেন গাজোল হাইস্কুল ময়দানে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের সব স্তরের নেতা ও কর্মীদের একসঙ্গে পথ চলারও নির্দেশ দেন তিনি।

বুধবার গাজোলে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, গোটা রাজ্যের সঙ্গে মালদা জেলাতেও এই মুহূর্তে তৃণমূল সবচেয়ে শক্তিশালী দল হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তৃণমূলের শক্তি দিন দিন বেড়েই চলেছে। রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মতো গাজোলেও যথেষ্ট পরিমাণে উন্নয়ন হয়েছে। এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক সুশীলচন্দ্র রায় এখানে একটি বাসস্ট্যান্ড, গাজোল থেকে কলকাতা পর্যন্ত বাতানুকূল সরকারি বাস পরিষেবা চালু, দমকলকেন্দ্র স্থাপন সহ বেশ কিছু দাবি জানিয়েছিলেন। ইতিমধ্যে এখানে বাসস্ট্যান্ড নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এপ্রিল মাস থেকে তার কাজ শুরু হয়ে যাবে। গাজোল-কলকাতা বাতানুকূল বাস পরিষেবা চালুর জন্য তিনি উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবেন। বাকি দাবিগুলিও তিনি মন্ত্রীসভার বৈঠকে উত্থাপন করবেন। তিনি আরো বলেন, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রভাব শুধু রাজ্যে নয়, জাতীয় স্তরেও পড়বে। দেশের বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে বিজেপি'র একাংশও চাইছে, মমতা দেশের হাল ধরুন। কারণ, মোদির ফানুস ফেটে গিয়েছে। এদিনের সভায় শুভেন্দুবাবু গাজোল ব্লকে ভোট পরিচালনার জন্য ৬ জনের স্ক্রিনিং কমিটি ঘোষণা করেন। সেই কমিটিতে রয়েছেন বিধায়ক দিপালি বিশ্বাস, তাঁর স্বামী রঞ্জিত বিশ্বাস, মনীন্দ্রনাথ পাল, সুশীলচন্দ্র রায়, জয়ন্ত ঘোষ ও প্রভাত পোদ্দার। আসন্ন নির্বাচনে তিনি দলের সমস্ত নেতা-কর্মীদের একসঙ্গে পথ চলার নির্দেশ দেন তিনি।

সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দুবাবু জানান, বর্তমানে রাজ্যে তৃণমূলের রয়েছে ৪৬ শতাংশ ভোট এবং তা দিন দিন বাড়ছে। গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে মালদায় দলের ফল ভালো হয়নি ঠিক। কিন্তু পরবর্তীতে এই জেলার দুই বিধায়ক দলে যোগ দিয়েছেন। জেলা পরিষদের সভাধিপতিও এখন তাঁদের দলে। প্রচুর পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত এখন তাঁদের দখলে। আর এই মুহূর্তে সিপিএমের কোনো অস্তিত্ব নেই। কংগ্রেস কার্যত শেষ। গত বিধানসভা ভোটের এই জেলায় কংগ্রেস, সিপিএম আর বিজেপি একজোট হয়েছিল। কংগ্রেস ভেবেছিল, পরিবর্তন হবে রাজ্যে। এই জেলার কংগ্রেসিরা মন্ত্রী হবেন। কিন্তু সেসব আর হয়নি। তিনি আশাবাদী, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই জেলায় দলের ফল ভালো হবে। তাঁদের লক্ষ্য, এই নির্বাচনে অন্তত ৫১ শতাংশ ভোট পাওয়া। শুভেন্দুবাবু এদিন বলেন, এই মুহূর্তে এই জেলার বিরোধী আরও কয়েকজন বিধায়ক তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তাঁরাও তৃণমূলে যোগ দেবেন। তবে তাঁরা কারা কিংবা কোন দলের, সেবিষয়ে মুখ খোলেননি শুভেন্দুবাবু।

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন