নিজস্ব প্রতিবেদন

Apr 16, 2018

নির্বাচনি বধ্যভূমিতে আরও একটি ভোট

Updated: Feb 27, 2023

বঙ্গভূমে দরজায় কড়া নাড়ছে আরেকটি গণ উৎসব৷এই উৎসবে কোনো বিগ্রহ নেই৷ নেই কোনো বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন৷এটা গ্রাম বাংলার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার উৎসব৷আর সেকারণেই নির্বাচনের সঙ্গে উৎসব শব্দের মেলবন্ধন বোধহয় অনেক আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত৷

কিন্তু সত্যিই কি আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন উৎসবের চেহারা নেবে? নাকি তা ছড়িয়ে দেবে একরাশ আতঙ্কের পরিবেশ৷ ২০১৮-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর থেকেই এর উত্তর খুঁজতে আকুল আমজনতা৷সংবাদমাধ্যমে একের পর এক নির্বাচনি সন্ত্রাসের প্রকাশিত খবর সাধারণ মানুষের আতঙ্ক নিশ্চিতভাবে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে৷আর তা দেখে বোধহয় মুচকি হাসছে রাজনীতির কারবারিরা৷

কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার, তিরবিদ্ধ শাসক

অথচ নির্বাচনি সন্ত্রাস এ’রাজ্যে এই প্রথম নয়৷৭২-এর কংগ্রেসি জমানায় রাজ্য দেখেছে ভোট সন্ত্রাসের কদর্য রূপ৷ সেই সন্ত্রাসের ছবি তুলে ধরে রাজ্যে একের পর এক ভোট জিতেছে বামেরা৷লাল আমলে ভোটের সময়ে বিরোধী প্রার্থীদের বাড়ির সামনে সাদা থান রেখে দেওয়ার নিস্তব্ধ সন্ত্রাস কি এখনও ভোলা গিয়েছে! অন্তত ভুক্তভোগীরা সেসব যে এখনও ভুলতে পারেননি, তা নির্দ্বিধায় বলে দেওয়া যায়৷বামেদের সরিয়ে রাজ্যে এখন তৃণমূল৷ এই আমলেও বিভিন্ন নির্বাচনে সন্ত্রাসের সচল ছবি দেখা গিয়েছে বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের পর্দায়৷কিন্তু সব ছাপিয়ে এখন আলোচনার ভরকেন্দ্রে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সন্ত্রাস৷বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অভিযোগের তিরে বিদ্ধ শাসকদল৷ যদিও খোদ তৃণমূলনেত্রীর কথায়, কিস্যু হয়নি৷

শাসকদলের শীর্ষনেত্রী থেকে শুরু করে নেতা-মন্ত্রীরা সবসময় দাবি করছেন, এই আমলে রাজ্য উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে গিয়েছে৷উন্নয়ন বজায় রাখতে মানুষ পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তৃণমূলকেই ভোট দেবে৷মানুষ যে উন্নয়নের পূজারি, তা নিয়ে দ্বিধা নেই৷ তাহলে এত সন্ত্রাস কেন? নির্বাচনি পর্যবেক্ষকদের মতে, যে-কোনো ভোটে শাসকদল চায়, গত নির্বাচনের থেকে আরও ভালো ফল করতে হবে৷ বিরোধীদের একটি আসনেও জিততে দেওয়া যাবে না৷আর সেই লক্ষ্যেই উন্নয়নকে ছাপিয়ে যায় সন্ত্রাস৷যার ছবি ধরা পড়েছে কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার পর্যন্ত৷সন্ত্রাসের বলি হতে হয়েছে শাসকদলের নেতা-কর্মীদেরও৷

সাধারণ মানুষ চাইছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হানাহানি বন্ধ হোক৷যা হয়েছে তা ভুলে গিয়ে সব রাজনৈতিক দল শপথ নিক, আর কোনো প্রাণহানি নয়৷ কিন্তু তা কি বাস্তব হবে? পুলিশ কি নিজেদের উর্দির মূল্যায়ন আর এই পেশায় যোগ দেওয়ার আগে নিজেদের নেওয়া শপথ রক্ষা করতে পারবে? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ণ৷ কারণ, এর উপরেই নির্ভর করছে বাংলার ভোট আর বঙ্গবাসীর জীবনের ভবিষ্যত৷

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন