আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

May 11, 2019

গোপনে স্ট্রংরুম থেকে সরছে ইভিএম, অভিযোগ কংগ্রেস ও বিজেপির

Updated: Sep 18, 2020

নিজেদের বক্তব্যের সমর্থনে প্রমাণও পেশ করেন তাঁরা৷ তবে এনিয়ে জেলা নির্বাচন আধিকারিকের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

স্ট্রং রুম থেকে বেআইনিভাবে সরানো হচ্ছে ইভিএম৷ আজ এই মারাত্মক অভিযোগ করলেন জেলা কংগ্রেস ও বিজেপি সভাপতি৷

আজ দুপুরে আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৮ মে চিঠি মারফত জানানো হয়, ১২ মে রবিবার দুপুর ১২টায় সিল করা ট্রাঙ্কগুলিকে ফের সিল করা হবে৷ সেখানে প্রার্থী অথবা তাঁর ইলেকশন এজেন্ট যেন উপস্থিত থাকেন৷ অথচ আজ সকাল সাড়ে ৯টায় স্ট্রংরুমের সিল ভেঙে ট্রাঙ্ক ভরতি ইভিএম লরিতে তোলা হচ্ছিল৷ মালদা পলিটেকনিকে উপস্থিত দলীয় প্রতিনিধি সমস্ত ঘটনা তাঁদের জানান৷ জেলা নির্বাচন আধিকারিক তথা জেলাশাসককে এবিষয়ে জানানোর চেষ্টা করা হলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি৷ তিনি ফোন ধরেন না৷ গত পরশুদিন গোপনসূত্রে তাঁরা জেনেছেন,শাসকদল জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছে, যেভাবেই হোক মালদার দুটো লোকসভা কেন্দ্রের ইভিএম পালটে ফেলতে হবে৷ সমস্ত বিষয় নিয়ে তাঁরা আজ নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন৷

এদিকে বিকেলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির জেলা সভাপতি সঞ্জিৎ মিশ্র বলেন, দুপুর দেড়টা নাগাদ দক্ষিণ মালদার প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি ফোন করে তাঁকে গোটা ঘটনা জানান৷ এরপরেই তাঁরা সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি জানানোর সিদ্ধান্ত নেন৷ তিনি জেনেছেন, লরিতে মাল নিয়ে পলিটেকনিক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় গেটের সেন্ট্রিরা প্রশাসনিক কর্তাদের জানান, এটা বেআইনি৷ কিন্তু তাঁদের কথায় ডিএম কান দেননি৷ এরপর সেন্ট্রি তাঁদের কম্যান্ডারকে বিষয়টি জানান৷ খবর পেয়ে কম্যান্ডার ছুটে এসে হুমকি দেন, গেট থেকে লরি বেরোলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ তখন বাধ্য হয়ে প্রশাসনিক কর্তারা লরি ফিরিয়ে নিয়ে আসেন৷ লরির মাল ফের আনলোড করা হয়৷ তাঁরা নিশ্চিত, এর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে৷ আমাদের প্রার্থী এনিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন৷