আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Sep 14, 2017

অধীর চৌধুরীর সভায় মাইক বাজানোর অনুমতি দিলনা প্রশাসন

Updated: Feb 25, 2023

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে বন্যায় ত্রান, পুনর্বাসন এবং ক্ষতিপুরণের দাবীতে বিক্ষোভ ও ডেপুটেশনের কর্মসূচি নিয়েছিল মালদা জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। অনুমতি না পেয়ে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে গাড়িতে মাইক লাগিয়ে সভা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এবং মালদার দুই সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী ও মৌসম নূর। কিন্তু প্রশাসনিক ভবনের সামনে সাইলেন্স জোন থাকায় মাইক বাজিয়ে সভা করার অনুমতি বাতিল করে দেন সদর মহকুমাশাসক পার্থ চক্রবর্তী। অনুমতি না পেয়ে গাড়ীতেই মাইক বেঁধে বিক্ষোভ সভা করলেন সাংসদ বিধায়ক এবং জেলা কংগ্রেস নেতারা। ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। সভার শেষে অতিরিক্ত জেলাশাসক দেবতোষ মণ্ডলের কাছে ১৬ দফা দাবীতে ডেপুটেশন দেন সাংসদ মৌসম নূর, ডালুসহ কংগ্রেসের অন্যান্য বিধায়ক ও নেতারা।

যদিও এদিন সভার অনুমতি প্রসঙ্গে সদর মহকুমাশাসক পার্থ চক্রবর্তী বলেন, প্রশাসনিক ভবনের চারপাশ এলাকাটা সাইলেন্স জোন বলে চিহ্নিত করা আছে। কংগ্রেস সভা করার অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু সাইলেন্স জোনের কারনে ওদের মাইক বাজিয়ে সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ডিএম, এসপি সভার অনুমতি না দিয়ে সঠিক কাজ করেননি। ডিএম, এসপি হয়েছেন জনসাধারনের টাকায়। সেই জন সাধারনের ভোটে নির্বাচিত সাংসদ। কিসের ভয় আপনাদের। চাকুরী চলে যাবে। এই চাকুরী নাই বা করলেন। বামেদের সময় আমরা বলতাম ডিএম, এসপি কে সরকারের দালাল। এখন তো তাকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন ডিএম, এসপিরা। সরাসরি তৃণমূলের নেতা হয়ে কাজ করছেন, উঠছেন এবং বসছেন আপনারা। এর জবাব দিতে হবে আপনাদের। প্রথমে দক্ষিণবঙ্গ বন্যায় ভাসলো। পরে উত্তরবঙ্গ বন্যার কবলে পড়লো। দক্ষিণবঙ্গে বন্যার সময় মুখ্যমন্ত্রী বললেন ম্যান মেড বন্যা। উত্তরবঙ্গের বন্যার সময় পা ভিজিয়ে চলে গেলেন। প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্য ২০০৫ সালে আইন করে রেখেছে কংগ্রেস সরকার। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য রাজ্যগুলিকে মোটা টাকা আগাম দিয়ে রাখে কেন্দ্র। টাকা খরচ হলেই আরো টাকা পেতে পারে রাজ্যগুলি। এতে কারোর দয়ার প্রয়োজন নেই। এটাই আইন করে গিয়েছিল কংগ্রেস। অন্যান্য রাজ্যে বন্যার পর প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা ফান্ড কেন্দ্রের কাছে টাকা চেয়েছে রাজ্যগুলি। দুর্ভাগ্যের বিষয় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কোনও টাকা চাইলেন না।

অধীরবাবু আরও বলেন, চারিদিকে ত্রানের হাহাকার, দলবাজি চলছে। সংসদে প্রশ্ন করেছিলাম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতীকে। তিনি স্পষ্টই বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে বন্যা, ভাঙন প্রতিরোধে কোনও প্রস্তাবই আসেনি। এটাই বাস্তব। বাংলা ভেসে যাক, মুখ্যমন্ত্রী নিজের মত চলছেন। সৌরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন, বন্যার পর রাজ্য সরকার কোনও টাকায় কেন্দ্রের কাছে চায়নি। বন্যাত্রানে কেন বঞ্চনা তার জবাব সরকারকে দিতে হবে। অথচ এই সরকার নাকি মা মাটি মানুষের সরকার। বন্যার জলে পা ভেজাতে এসেছিলেন দিদি। দিদির এই নাটক বাংলার মানুষ দেখে দেখে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের ডিএ প্রসঙ্গ নিয়ে এদিন অধীর চৌধুরী কটাক্ষের সুরে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলছেন ঘেউ ঘেউ করছে। একদিন দেখবেন এই ঘেউ ঘেউ যারা করছে তারা কামড়ে দিলে জলাতঙ্ক রোগে ভুগবেন আপনি। তখন নবান্ন থেকে এসে পা ভিজিয়েও কোন লাভ হবে না। শিল্প নেই, চাকুরী নেই। নতুন নিয়োগ বন্ধ। অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের সানান্য কিছু দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। হাজার হাজার পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে। বেকার ছেলে মেয়েরা যাবে কোথায়।

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন