আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
Jun 22, 2021
উল্লেখ্য, ১৮ ফেব্রুয়ারি আসিফ মোহম্মদ একসঙ্গে বাড়ির চারজনকে খুন করে বাড়ির গুদাম ঘরে পুঁতে দেয়। সেই সময় দাদা আরিফ কোনোভাবে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এরপর থেকে ক্রমাগত আরিফকে খুনের হুমকি দিতে থাকে আসিফ। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বোনের এক বান্ধবীর সঙ্গে আরিফ ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন৷ তাঁদের মধ্যে অন্তরঙ্গতা বাড়তে শুরু করে৷ তেমনই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কয়েকটি ছবি আসিফের ল্যাপটপ থেকে উদ্ধার হয়েছে। এই ছবি দেখিয়ে আসিফ তার দাদাকে ব্ল্যাকমেইল করত বলে অনুমান তদন্তকারীদের৷ সামাজিক অবমাননা ও খুনের হুমকিতেই এতদিন মুখ বুজে ছিলেন আরিফ, এমনটাই ধারণা করছেন পুলিশের একাংশ। এদিকে, আজ ম্যানিকুইন ব্যবহার করে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ। আসিফ ও আরিফ নিজের সমস্ত কার্যকলাপ পুলিশের সামনে তুলে ধরে।
পুলিশসুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, এই খুনের ঘটনায় আজ ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। আমরা ম্যানিকুইন আনিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছি। খুব শীঘ্রই আমরা চার্জশিট পেশ করব। এই ঘটনায় দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে। একটি খুনের মামলা আরেকটি আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করার মামলা। পুলিশের পক্ষ থেকে খুনের ঘটনাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আগ্নেয়াস্ত্রগুলি কোথা থেকে কীভাবে আনানো হয়েছে তা নিয়েও তদন্ত করা হচ্ছে। আসিফ সফট ড্রিংকে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেয়। আসিফ নিজেও ঘুমের ওষুধ খেত। পরিবারের লোকজন অজ্ঞান হয়ে গেলে গুদামে নিয়ে যায়। সেখানে প্লাই বোর্ড দিয়ে চৌবাচ্চা তৈরি করে জলে ডুবিয়ে খুন করে। সেই সময় আরিফের জ্ঞান ফিরে আসে। আরিফ কীভাবে নিজেকে বাঁচিয়েছে সেটাও আরিফ দেখিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কেমিক্যাল ব্যবহারের কোনও সূত্র পাওয়া যায়নি।
[ আগের খবরঃ ব্ল্যাকমেলকে হাতিয়ার করে আসিফ ]
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন