আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Jul 7, 2017

অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ছাড়াই মালদা মেডিক্যাল কলেজে মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব

Updated: Feb 24, 2023

অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা নেই৷ তা সত্ত্বেও মালদা মেডিক্যাল কলেজে চালু হয়েছে মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব৷ শুক্রবার মেডিক্যাল পরিদর্শনে আসা রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রতিনিধি দলও বিষয়টি জানতে পেরে বিস্মিত হয়েছে৷ আগত প্রতিনিধি দলের সদস্যদের প্রশ্নের মুখে পড়েন মেডিক্যাল কলেজের কর্তারা৷ মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ছাড়াও স্বাস্থ্য দপ্তরের দলটি কালিয়াচকের সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতাল ও সুজাপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করে৷ ওই দুই জায়গাতেও গড়ে উঠতে চলেছে মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব৷

উল্লেখ্য, গত ৫ মে মালদা মেডিক্যালে মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব চালু হয়৷ চার তলা বিশিষ্ট হাবের পরিকল্পনা থাকলেও বর্তমানে শুধুমাত্র একটি তলেই সেই হাব চালু রয়েছে৷ ভবন নির্মাণ ও বিদ্যুতায়নে মোট খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা৷ সম্প্রতি মালদা মেডিক্যাল কলেজের পক্ষ থেকে এই ভবনটিকে ১০ তলা পর্যন্ত বৃদ্ধি করার প্রস্তাব নবান্নে পাঠানো হয়৷ সেখানে কার্ডিওলজি বিভাগ চালু করার উদ্দেশ্যেই সেই প্রস্তাব পাঠানো হয়৷ তার জন্য খরচ ধরা হয় আরও প্রায় ১৫ কোটি টাকা৷ সেই প্রস্তাব খতিয়ে দেখতে এদিন রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের চার সদস্যের প্রতিনিধি দলটি মালদায় আসে৷ এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের ডেপুটি সেক্রেটারি জলি মুখোপাধ্যায়৷


 
এদিন প্রতিনিধি দলটি মালদা মেডিক্যাল কলেজের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব পরিদর্শন করে৷ ওই হাব চালু হলেও কেন সেখানে এখনও অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি তা নিয়ে দলের সদস্যদের প্রশ্নের মুখে পড়েন মালদা মেডিক্যাল কলেজের কর্তারা৷ তাঁরা জানান, সেই কাজের জন্য এর আগে দু-তিনটি টেন্ডার করা হয়েছিল৷ একাধিক সংস্থা সেই কাজের জন্য দরপত্রও জমা দেয়৷ কিন্তু তাদের কারোর এই কাজে কোনও অভিজ্ঞতা না থাকায় সেই টেন্ডার বাতিল করে দেওয়া হয়৷ সম্প্রতি অভিজ্ঞ একটি সংস্থাকে সেই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে৷ তারা কাজও শুরু করে দিয়েছে৷ কিছুদিনের মধ্যেই হাবে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে বলে প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করেন মেডিক্যাল কলেজের কর্তারা৷


 
মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব ভবনে আরও কয়েকটি তল বাড়িয়ে সেখানে কার্ডিওলজি বিভাগ চালু করার জন্য সম্প্রতি মেডিক্যাল কলেজের তরফে নবান্নে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল৷ বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, এদিন ওই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতেও ভবনটি ঘরে দেখেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা৷ কিন্তু তার জন্য নাকি আরও কিছুদিন সময় লাগবে৷ তবে সুজাপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে খুব তাড়াতাড়ি যে মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব তৈরি হতে চলেছে সেব্যাপারে এদিন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরকে নিশ্চিত করেন জলিবাবু৷ যদিও এনিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি মুখ খুলতে চাননি৷ জানা গিয়েছে, এই জেলায় প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার বেড়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত৷ খতিয়ে দেখা গিয়েছে, কালিয়াচক এলাকাতেই প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার সবচেয়ে বেশি৷ তবে এই মুহূর্তে জেলার অন্য কোথাও এমন হাব নির্মাণের সম্ভাবনা নেই বলেই সূত্রের খবর৷

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন