আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Mar 2, 2023

ফের ভিনরাজ্যে গিয়ে মৃত্যু শ্রমিকের, শাসকদলকে কটাক্ষ বিরোধীদের

কাজ না পেয়ে ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে ফের মৃত্যু এক শ্রমিকের। গতকাল রাতে ওই শ্রমিকের কফিনবন্দি দেহ গ্রামে ফিরে এসেছে। আজ ওই পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক। এনিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী শিবির। বিরোধীদের বক্তব্য, বিধায়ক-শাসকদলের জেলা সভাপতি হয়ে কাজ দেওয়ার ক্ষমতায় নেই। অথচ শ্রমিকদের বাড়ি গিয়ে সমবেদনা জানিয়ে প্রচারে থাকার কৌশল পুরোপুরি রপ্ত করে ফেলেছেন বিধায়ক।

মৃত শ্রমিকের স্ত্রী ও সন্তানরা

মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের নাম উজির আলি (৩৫)৷ বাড়ি চাঁচল-২ নম্বর ব্লকের ধানগাড়া বিষণপুর গ্রামপঞ্চায়েতের বালুয়াঘাট গ্রামে৷ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় কাজ না মেলায় মাস তিনেক আগে দিল্লিতে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতে যান উজির৷ গত মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ তাঁর পেটে ব্যথা শুরু হয়৷ সহকর্মীরা তাঁকে দিল্লির একটি সরকারি হাসপাতালে ভরতি করেন। রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় উজির সাহেবের। গতকাল রাতে উজির সাহেবের কফিনবন্দি দেহ গ্রামে এসে পৌঁছয়। রাতেই কবরস্থ করা হয় তাঁকে। এদিকে মৃত্যুর খবর পেয়ে আজ দুপুরে উজির সাহেবের বাড়িতে যান মালতিপুরের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বকশি৷ ওই পরিবারটিকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি সরকারি ও ব্যক্তিগত সাহায্য করার আশ্বাস দেন বিধায়ক।

বিধায়কের এই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ডিওয়াইএফআইয়ের জেলা কমিটির সদস্য সৌম্যশ্রী সাহা৷

তিনি জানান, গত দেড় বছরে এই এলাকার প্রায় ২০ জন পরিযায়ী শ্রমিক ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে মারা গিয়েছেন৷ এলাকায় কাজ না থাকায় মানুষকে বাধ্য হয়ে ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজে যেতে হচ্ছে। সেখানে গিয়ে একের পর এক তরতাজা প্রাণ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। অথচ এলাকার বিধায়ক কিংবা মুখ্যমন্ত্রী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে, মৃতদের বাড়ি গিয়ে সমব্যথী প্রকল্পের কয়েকটা টাকা হাতে গুঁজে দিচ্ছেন।

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন