আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
Apr 29, 2020
Updated: Sep 15, 2020
গত পরশু সামসী কোয়রান্টিন সেন্টারে থাকা প্রত্যেকের লালারস সংগ্রহ করা হয়েছিল৷ গতকাল রাতে এক মহিলার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। আজ দুপুরে তাঁকে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় করোনা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ তাঁর বাড়ির সদস্যদের রাখা হয়েছে হোম কোয়রান্টিনে৷ আক্রান্ত মহিলার বাড়ি রতুয়া ১ ব্লকের বাহারাল এলাকায়। ওই মহিলা পেশায় ভিক্ষুক৷ মাস দুয়েক আগে এলাকার আরও কয়েকজনের সঙ্গে মুম্বইয়ে ভিক্ষা করতে গিয়েছিলেন ওই মহিলা৷ করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই মহারাষ্ট্রে এক ভিক্ষুকের মৃত্যু হয়। গত ২২ এপ্রিল ওই মৃতদেহ দিয়ে আক্রান্ত মহিলা সহ আরও তিনজন গ্রামে ফিরে আসে। মৃতদেহটি কবরস্থ করা হলেও ভিন রাজ্য ফেরত ওই চারজন প্রথমে বাড়িতে ছিলেন।
পরে এলাকাবাসীর আপত্তিতে পুলিশ ওই মহিলাকে ২৪ এপ্রিল কোয়রান্টিন সেন্টারে নিয়ে যায়। কিন্তু বাহারাল এলাকার বাকি দুজন ভিক্ষুককে কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়নি। তবে শ্রীপুর এলাকার অপর এক ভিক্ষুককে কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়।
এই ঘটনা সামনে আসতেই উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন। মুম্বইয়ে মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ যদি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয়। তবে মুম্বই থেকে আসা আরও তিনজন ব্যক্তিও আক্রান্ত হতে পারেন। যদি তাঁরা করোনায় আক্রান্ত হন তবে, তাঁদের মধ্যে দুজন এখনও এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আরও প্রশ্ন উঠছে, লকডাউনের মধ্যে মুম্বই থেকে মৃতদেহ কীভাবে জেলায় এল?