আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Dec 9, 2021

ধানতলায় ধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারার ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড যুবকের

যুবতিকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় অভিযুক্তকে দোষী প্রমাণিত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। মালদা জেলা আদালতের ৫ নম্বর দায়রা আদালতের বিচারক অসীমা পাল সাজা ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর ইংরেজবাজারের কোতোয়ালির ধানতলা এলাকায় আম বাগানের মধ্যে এক যুবতির অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। প্রথমে যুবতির নাম পরিচয় জানা না গেলেও সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে অলংকার দেখে পরিচয় জানা যায়। পরবর্তীতে ওই যুবতির পরিবারের লোকজন মালদা মেডিকেলে মর্গে যুবতিকে শনাক্ত করেন। মৃত যুবতির নাম ঝুমা দে। বাড়ি শিলিগুড়িতে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সামান্য দূরের এক বাসিন্দা বাপন ঘোষ ওরফে ছোটনকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ছোটন ও ঝুমা শিলিগুড়িতে একটি পপকর্ন কারখানায় একসঙ্গে কাজ করত। সেই সূত্রে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঝুমা, ছোটনকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু আগেই হওয়ায় ছোটন বিয়ে করতে রাজি হয়নি। অবশেষে ছোটন ঝুমাকে মালদায় ডেকে পাঠায়। ওই আমবাগানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ঝুমাকে খুন করে সে। প্রমাণ লোপাটের জন্য পরে আগুন দিয়ে মৃতদেহ পুড়িয়ে দেয়।

সরকারি আইনজীবী জানান, এই মামলায় মোট ২১ জনের সাক্ষী প্রমাণ গ্রহণ করে আদালত। সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ করে আদালত বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে দোষী প্রমাণিত করে। ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, ৩৭৬ ধারায় ১০ বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও ২০১ ধারায় তিন বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত।

[ আরও খবরঃ মালদাবাসীকে ফের বিমানবন্দরের স্বপ্ন দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী ]

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন