অনিরুদ্ধ দাশগুপ্ত
Jan 11, 2020
Updated: Feb 25, 2020
মালদা সমবায়িকা বোর্ড বামফ্রন্টের দখলে ছিল। দু’বছর আগে সমবায়িকার প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ করা হয় ইংরেজবাজার পুরসভার তৃণমূল দলের কাউন্সিলর অম্লান ভাদুড়িকে। তার তত্ত্বাবধানেই আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি তদারকি শুরু হয়। এরপর একের পর এক দুর্নীতির বিষয়গুলি উঠে আসতে থাকে।
২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে প্রায় ৫৩ লক্ষ টাকার তছরুপ করে নিজের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছেন স্টেশনারি ইনচার্জ। অভিযোগের ভিত্তিতে ইনচার্জকে গ্রেফতার করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে বিগত দিনের বাম বোর্ডের একাংশ জড়িত থাকার সন্দেহ করছেন অম্লানবাবু।
সমবায়িকার স্পেশাল অফিসার অম্লান ভাদুড়ি জানান, গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সমবায়িকায় সিপিএম পরিচালিত বোর্ড ছিল। ২৫ ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে স্পেশাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়। নিযুক্ত হওয়ার পরে আলোচনার মাধ্যমে লাভের পরিমাণ কম হওয়ার বিষয়টি তিনি জানতে পারেন। এরপরেই এই দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসে। তাঁর অনুমান এই ঘটনার সঙ্গে সিপিএমের বোর্ডের লোকজন জড়িত রয়েছে।
সমবায়িকার চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, এখানে সরকারি অফিসারদের সামনে অদৃশ্য দেওয়াল তুলে দেওয়া হয়। বিভিন্নরকমভাবে সরকারি অফিসারদের হেনস্তা করা হয়। সেই দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। কিন্তু কোনভাবেই দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে প্রমাণ মিলেছে। অনলাইন পরিসেবা সহ একটি অ্যাকাউন্টের আইডি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে টাকা চুরি করা হচ্ছিল। তাঁর ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর ওই অ্যাকাউন্টের সাথে যুক্ত হওয়ার পর থেকে প্রতিবার টাকা ট্রান্সফারের সময় তাঁর মোবাইলে ম্যাসেজ আসতে থাকে। ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে ওনার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে প্রায় ৫২ লক্ষ ৫০ টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে। গতকাল উনি স্বীকার করেছেন প্রায় তিন বছর ধরে তিনি এই কাজ করেছেন। গতকাল ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কল্যাণবাবুকে গ্রেফতার করেছে।
ইংরেজবাজার থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে সমবায়িকার স্টেশনারি ইনচার্জ কল্যাণব্রত ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।