অনিরুদ্ধ দাশগুপ্ত

Nov 13, 2019

স্থান পরিবর্তন হল না বইমেলার, এবারেও সদরঘাটে

Updated: Feb 26, 2020

বইমেলা কমিটির আশা ছিল এবার হয়তো বইমেলা আবার মালদা কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু পরীক্ষা ও বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে মালদা কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের মাঠে বইমেলা করার জন্য কমিটিকে অনুমতি দেয়নি। অগত্যা বইমেলা কমিটির সভাপতি তথা জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্রের নেতৃত্বে লোকাল লাইব্রেরি অথরিটির এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় বুধবার মালদা জেলা প্রশাসনিক ভবনে। সেই বৈঠকে স্থির হয় বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে পুড়াটুলি সদরঘাটে। সরকারি নির্দেশিত তারিখ অনুসারে ২০২০ সালের বইমেলা ১৫ থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত হওয়ার কথা থাকলেও ১৫ জানুয়ারি পৌষ সংক্রান্তি তিথি পড়ে যাওয়ায়, বাধ্য হয়ে বইমেলা কমিটিকে তারিখ পরিবর্তন করতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে বইমেলা হবে ১৪ জানুয়ারি থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত। বইমেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি জানান এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন বিখ্যাত সাহিত্যিক স্বপ্ননীল চক্রবর্তী ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি।

বইমেলার স্থান নিয়ে এদিকে পুস্তকপ্রেমীদের একাংশ বিরক্ত প্রকাশ করেছেন। মালদা কলেজ মাঠে বইমেলা হলে সেখানে পুস্তকপ্রেমীদের ভিড় যেমন বাড়ে, তেমনি বইয়ের কেনাবেচাও বেশি হয়। কিন্তু গত বছরে বইমেলার স্থান পরিবর্তন হওয়ায় বই সেরকম বিক্রি হয়নি বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থাগুলি।

মালদা কলেজে ২০১৮ সালের বইমেলার ছবি

সমস্যা আছে বইমেলার এই নতুন জমি নিয়েও। কারণ, বর্ষার পরে মহানন্দা নদীর জল সরে গেলে এলাকাটি বিভিন্ন গৃহপালিত জীবজন্তুদের বিচরণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। তাদের পায়ের চাপে গোটা এলাকা এবড়োখেবড়ো অবস্থায় পড়ে থাকে। নদীতীরে মাটি নরম থাকার জন্য সেখানে রোড রোলার চালিয়েও জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা সম্ভব হয়না। এখনও পর্যন্ত এলাকাটি কর্দমাক্ত অবস্থাতেই আছে। ফলে এবছর বইমেলার সময় এলাকাটি কী অবস্থায় থাকবে তা নিয়ে কিছুটা সংশয় থেকেই যায়। যদিও বইমেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি জানিয়েছেন, গতবারের বইমেলার সমস্যাগুলি সমাধান করা হবে। পুস্তকপ্রেমী মানুষদের বইমেলায় কোনো সমস্যা হবে না বলেও আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি।