অনিরুদ্ধ দাশগুপ্ত

Jan 21, 2020

কুশিদায় পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

পঞ্চায়েতের কাজ নিয়ে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। পঞ্চায়েত দপ্তরে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন পঞ্চায়েত প্রধান। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদা শহরে।

উল্লেখ্য, হরিশ্চন্দ্রপুরের কুশিদা গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান সহ অন্যান্য আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছিলেন এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। অভিযোগ, সরকার থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য অনুদান বরাদ্দ হচ্ছে। কিন্তু পঞ্চায়েত প্রধান ও আধিকারিকদের যোগসাজশে সেগুলি আত্মসাৎ হয়ে যাচ্ছে। স্কিমের টাকা প্রধান ও তাঁর কাছের কিছু মেম্বারদের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যাচ্ছে এবং সেখান থেকেই টাকাগুলি আত্মসাৎ হচ্ছে।

এপ্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক তাজমুল হোসেন জানান, যারা কুশিদা (#Kushida) গ্রাম পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে, তারা তৃণমূলের নাম ভাঙ্গিয়ে দল বিরোধী কাজকর্ম করছে। আর পঞ্চায়েতে এমএমডিএস স্কিম নিয়ে কোনও দুর্নীতি হয়নি। শেফালী খাতুন বা অন্যরা যদি দলেরই সদস্য হতো তাহলে তারা দলের নেত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে বিক্ষোভ কর্মসূচি করত। এরা পঞ্চায়েতে বিক্ষোভের নামে ভাঙচুর চালিয়েছে তাই অভিযোগ করা হয়েছে।

শেফালী খাতুন জানান, কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতে বিভিন্ন প্রকল্পে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জন্য বিভিন্ন স্কিম করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু প্রধানের যোগসাজশে সেগুলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার মহিলারা। সমস্ত বিষয় নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির পাশাপাশি প্রধানের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেদিন প্রধান সহ অন্যান্য আধিকারিকরা অনুপস্থিত ছিলেন। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে কোনোরকম ভাঙচুর করা হয়নি। তার প্রমাণ আমরা দিতে পারব। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আন্দোলনকে ধামাচাপা দিতেই প্রধান অভিযোগ করেছে।

যদিও ঘটনা প্রসঙ্গে পঞ্চায়েতের প্রধান আখতারি বিবি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।