আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
Oct 7, 2021
Updated: Oct 18, 2021
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন রাতে পুলিশের কাছে খবর আসে বাবা-মা, ছোটো বোন ও ঠাকুমাকে খুন করে বাড়িতেই পুঁতে রেখেছে ১৯ বছরের আসিফ। কোনক্রমে আসিফের হাত থেকে বেঁচে যান তার দাদা আরিফ। তাকেও খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এরপরেই আরিফ পুরো বিষয়টি পুলিশের সামনে আনে। রাতেই পুলিশ আসিফকে আটক করে। পরদিন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বাড়ি লাগোয়া নির্মীয়মাণ গুদামঘরের মেঝে খুঁড়ে উদ্ধার হয় আলেক নুর বেওয়া (৭২), ইরা বিবি (৩৬), রিমা খাতুন (১৬) জাওয়াদ আলির (৫৩) পচাগলা দেহ৷ ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে পুরো ঘটনার তদন্ত করে পুলিশ আধিকারিকরা। আসিফকে জেরা করে উঠে আসে আরও তথ্য। তার দুই বন্ধুর হেপাজত থেকে উদ্ধার হয় প্যাকেটে মোড়া প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ। গ্রেফতার করা হয় দুই বন্ধু সাবির আলি ও মাহফুজ আলিকে। তবে খুনের সঙ্গে আসিফের দুই বন্ধুর কোনও যোগ ছিল না বলে পুলিশি তদন্তে উঠে আসে। খুনের ঘটনায় পুলিশের প্রধান সাক্ষী ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, অভিযুক্তের দাদা আরিফ মোহম্মদ আজ আদালতে নিজের বয়ান তুলে ধরে।
সরকারি পক্ষের আইনজীবী বিভাস চ্যাটার্জী জানান, আজকের সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই আসিফের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আজকে প্রথম শুনানি হল। আজ আরিফ পুরো অভিযোগ আদালতে তুলে ধরে। আসিফের হেপাজত থেকে যে সমস্ত ইলেকট্রনিক গ্যাজেড উদ্ধার হয়েছিল তা ফরেনসিক টেস্টে রয়েছে। সেই রিপোর্টের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। সেই রিপোর্ট পেলেই সমস্ত তথ্য সামনে আসবে। পরবর্তী শুনানির তারিখ ১১ নভেম্বর।
[ আরও খবরঃ বাংলাদেশ থেকে নাবালিকাকে ফিরিয়ে আনল পুলিশ ]
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন