আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
Jan 8, 2020
Updated: Nov 20, 2020
বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কয়েকটি পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আহত হয়েছেন পুলিশকর্মীরাও।
ভারত বন্ধকে (#BharatBandh) কেন্দ্র করে সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল সুজাপুর(#Sujapur)। ৩৪ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন সর্মথকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কালিয়াচক ও বৈষ্ণবনগর থানার আইসি সহ ডেপুটি পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশকর্তারা আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। সেই সময় হঠাৎ কেউ বা কারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করে। পুলিশ অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে। এরপরে উত্তেজিত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়তে শুরু করে। পুলিশের গাড়ির পাশাপাশি ঘটনাস্থলে উপস্থিত মোটরবাইক, বাস ও ছোটো গাড়িতে ভাঙচুর চালাতে থাকে। বাধ্য হয়ে পুলিশকে রবার বুলেট ও শূন্যে গুলি ছুঁড়তে হয়। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক এই পরিস্থিতি চলতে থাকে। পরে ঘটনাস্থলে জল কামান ও দমকলের দুটি ইঞ্জিন ছুটে আসে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলিশ গাড়িগুলিতে ভাঙচুর চালাচ্ছে সম্পর্কিত যে কয়েকটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে তার সত্যতা জানতে তিনি নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন।
এই ঘটনার পরে সুজাপুরের বিধায়ক ইশা খান চৌধুরি ভাঙচুরের ঘটনায় কংগ্রেসের কোনও কর্মী জড়িত নয় বলে জানান। তিনি আরও জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলিশ গাড়িগুলিতে ভাঙচুর চালাচ্ছে সম্পর্কিত যে কয়েকটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে তার সত্যতা জানতে তিনি নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন। কিছু ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, উত্তেজিত জনতা নয়, পুলিশ লাথি দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করছে। আজকের এই বিক্ষোভে শুধুমাত্র বামফ্রন্ট বা জাতীয় কংগ্রেসের কর্মীরা নয়, সাধারণ জনগণও উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন ছিল তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য। সেখানে রাজ্য সরকার বা পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ছিল না। তাই ঘটনা কেন ঘটল তার সঠিক তদন্তের দাবি জানালেন তিনি।