আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Nov 6, 2020

রক্তে লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে পথে শতাধিক ছাত্র

পুজোর সময় ট্রাফিক আইন ভঙ্গ এবং কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীকে নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ব্লক সভাপতি। গ্রেফতারির প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের লাঠির ঘায়ে আহত হয়েছিলেন কর্মীরাও। সেই ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা রক্ত দিয়ে চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে। যদিও এই আন্দোলনকে সমর্থন জানায়নি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি।

হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি জামিন পেতেই পথে নামলেন সংগঠনের কর্মীরা। বৃহস্পতিবার তৃণমূল পার্টি অফিসের পাশে রক্তে লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে বসে পড়েন শতাধিক ছাত্র। উল্লেখ্য, দশমীর রাতে চাঁচলে আসছিলেন টিএমসিপি সভাপতি বিমান ঝা। ওই সময় শান্তি মোড়ে নোএন্ট্রি থাকা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে তার। পুলিশকে হেনস্থার অভিযোগে বিমানকে গ্রেফতার করা হয়। মিথ্যে মামলায় বিমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে পরদিন থানায় বিক্ষোভ দেখানোর সময় টিএমসিপির কর্মীদের ওপরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। চারজন টিএমসিপি কর্মী জখম হন। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করায় বিমানের জেল হেফাজত হয়। বুধবার জামিন পেয়ে বিমান বাড়ি ফিরতেই আন্দোলনে নামল টিএমসিপি।

টিএমসিপি নেতা নীরু মহালদার, প্রণব দাসরা বলেন, বিমানকে মিথ্যে অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরদিন অন্যায়ভাবে আমাদের লাঠিপেটাও করে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের অভিভাবক। তাই ওনার কাছে বিচার চেয়ে আবেদন জানিয়েছি।

[ আরও খবরঃ চিন-ভারত টক্করে বদলাল ছবি, ফিরল মাটির প্রদীপের চল ]

এপ্রসঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মালদা জেলা সভাপতি প্রসূন রায় বলেন, পুলিশ অন্যায়ভাবে ছাত্রদের উপর লাঠিচার্জ করেছিল। কিন্তু ওরা যেভাবে আবেগের বশবর্তী হয়ে রক্ত দিয়ে চিঠি লিখে প্রতিবাদ করছে তা সমর্থন যোগ্য নয়।

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন