আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

May 1, 2020

রেড জোন! তীব্র আতঙ্কে জেলাবাসী

Updated: Sep 15, 2020

শেষ পর্যন্ত মালদা জেলাও ঢুকে পড়ল করোনা রেড জোনে৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সচিব প্রীতি সুদানের স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে (D.O. No. Z 28015/19/2020-EMR Dt. 30-04-2020) এই উল্লেখ করা হয়েছে৷ ওই চিঠির সঙ্গে প্রকাশ করা হয়েছে দেশে করোনা কন্টেইনমেন্ট জোনের তালিকাও৷ ওই তালিকাতেই মালদা জেলার নাম রয়েছে ৭২০ নম্বরে৷ আজ সকাল থেকে এই চিঠি নিয়ে তীব্র আতঙ্কে জেলাবাসী।

দেশে করোনা প্রাদুর্ভাব হওয়ার পরেও খুব একটা আতঙ্ক ছিল না মালদায়৷ কারণ, বেশিরভাগ পরিযায়ী শ্রমিক ভিনরাজ্য থেকে জেলায় ফিরতে পারেনি৷ লকডাউনে যারা ঘরে ফিরেছিল, প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, তাদের প্রত্যেককে কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে৷ কিন্তু প্রশাসনের এই দাবি যে কতটা ভিত্তিহীন, তারও প্রমাণ মিলেছে পরে৷ এখনও কালিয়াচক, রতুয়া কিংবা চাঁচলের অনেক ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিক খুল্লমখুল্লা ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে৷ মানিকচকের যে শ্রমিক করোনা পজিটিভ, সে অন্তত দু’দিন গ্রামে ঘুরে বেরিয়েছে বলে গ্রামবাসীরাই অভিযোগ তুলেছে৷ অন্যদিকে রতুয়া ১ ব্লকের যে মুম্বই ফেরত মহিলা করোনায় আক্রান্ত, তিনি যে দু’দিন গ্রামে অবাধে ঘুরেছেন তা স্বীকার করে নিচ্ছে সেখানকার ব্লক প্রশাসনের একাংশও৷

এই আবহে গতকাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সচিবের স্বাক্ষরিত চিঠিতে ঘুম উড়েছে জেলাবাসীর৷ ওই চিঠির সঙ্গে গোটা দেশের ৭৩৩টি জায়গার নাম উল্লেখ করা হয়েছে৷ কোন জায়গা কোন জোনে রয়েছে তারও উল্লেখ রয়েছে সেখানে৷ ওই তালিকার ৭২০ নম্বরে মালদাকে রেড জোনে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে৷

কিন্তু জেলা প্রশাসনের তরফে এখনও এই চিঠি কিংবা তার সঙ্গে থাকা তালিকাকে মান্যতা দেওয়া হয়নি৷ এনিয়ে এখনও কিছু বলেনি রাজ্য সরকারও৷ তবে এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারের উপর যেন আর ভরসা করতে পারছে না জেলাবাসী৷ আগে রাজনৈতিক দলগুলি অভিযোগ তুললেও এখন সাধারণ মানুষের একাংশও কিন্তু রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে করোনা তথ্য গোপন করার অভিযোগ তুলছে৷ বিশেষত গতকাল সরকারের ঘোষণা করা ১০৫-৩৩ মৃত্যুর তথ্যে মানুষের ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে৷