আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
May 26, 2020
Updated: Aug 11, 2020
আমফান ঝড়ের পর জেলা উদ্যানপালন দফতর জানিয়েছিল, মালদায় প্রায় ৩৮ হাজার মেট্রিক টন আম ঝরে গিয়েছে। পাশাপাশি ক্ষতি হয়েছে লিচু ও ধান চাষেও। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেলায় হাজির হন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের ও বিধায়কদের সাথে নিয়ে পুরাতন মালদার চাষের জমি খতিয়ে দেখেন তিনি। সেখানে প্রশাসনকে নির্দেশ দেন ক্ষয়ক্ষতির একটি তালিকা নবান্নতে পাঠাতে।
জমি পরিদর্শন করে ফিরে এসে বনমন্ত্রী জেলা প্রশাসনিক ভবনে আধিকারিক, তৃণমূল বিধায়ক ও জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলে তিনি জানান, আমফানের দাপটে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই জেলাতেও আমফানের প্রভাব পড়েছে। আমের জন্য মালদার খ্যাতি রয়েছে। প্রায় ৫০০ কোটি টাকার আমের ব্যবসা হয় এখানে। আম ও অন্যান্য ফল রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হয়। এদিন আমি প্রশাসনিক কর্তাদের সাথে বৈঠক করলাম। এখনই ক্ষতিপূরণের অঙ্কটা বলতে পারছি না। কলকাতা ফিরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এর রিপোর্ট পেশ করব। আমরা মানুষের পাশে আছি, মানুষের পাশেই থাকব।
অন্যদিকে উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু অভিযোগ করেন, এই বৈঠকে শুধু তৃণমূলের নেতাদের ডাকা হয়েছে। তৃণমূলের কাজই হল সবকিছু গোপন করা। এই প্রসঙ্গে বনমন্ত্রী বলেন, বিরোধীদের কাজ বিরোধিতা করা। আমি এই বিপদের দিনে ঝটিকা সফরে মালদায় এসেছে। এইসময় আমি রাজনীতি করতে চাই না।